সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমানো হোক

ইয়াসমিন আক্তার

যেহেতু ঘরের ধকল আমাকে সামলাতে হয়, তাই চিন্তা থাকে পরিবারের সবার প্রতিদিনের খাবারের আয়োজন কীভাবে ঠিকমতো করব। সে জন্য বাজারসদাই, রান্নার কাজ—এসব আমিই করি। বাজেট এলে চিন্তা হয়, কোন জিনিসের দাম কমল, আবার কোনটা বাড়ল। সংসারের চাপ কীভাবে কমবে, সেটা ভেবে চিন্তা বাড়ে। বাজারে সবকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।

রান্নার ধকল সামলানো সব গৃহিণীর জন্যই কঠিন কাজ। কারণ, রান্না করতে গেলেই গ্যাসের দামের কথা মাথায় আসে। আজকাল আমি গ্যাস নিয়ে বড় চিন্তায় পড়ে যাই। যেসব জায়গায় সরকারি গ্যাস নেই, সেখানে মানুষের চিন্তা বেশি। কারণ, সিলিন্ডার গ্যাসের বেশি দাম নিয়ে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। খাদ্য কিনতে যখন মানুষ হিমশিম খাচ্ছে, তখন বাড়তি দাম দিয়ে গ্যাস কিনব কীভাবে? এটা চিন্তার বিষয়।

গ্যাসের দামের কথাটা শুধু আমার জন্য বলছি না। গ্যাসের দাম নিয়ে গ্রামের মানুষের ভোগান্তি শহরের চেয়ে বেশি। আমরা যাঁরা শহরের বাসিন্দা, তাঁরা হাতে টাকা থাকলে জ্বালানি পাই। গ্রামে জ্বালানি সমস্যা কিন্তু অনেক বেশি। এ ছাড়া গৃহিণী হিসেবে নিরাপদ খাওয়ার পানি পাওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। শহরে সরকার যে পানি সরবরাহ করে, তা সরাসরি পান করার মতো থাকে না। গ্রামে তো ঠিকমতো অনেক জায়গায় মানুষ খাওয়ার নিরাপদ পানি পায় না। বিশেষ করে লবণাক্ত এলাকায় নিরাপদ খাওয়ার পানি পাওয়া দুরূহ ব্যাপার। খুলনা অঞ্চলে এই সমস্যা অনেক বেশি। এ জন্য বহু মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

একজন নারী হিসেবে বাজেটে নারীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে ভালো পদক্ষেপ নিতে বলব। এর পাশাপাশি বেসরকারি চিকিৎসাসেবার খরচ কমানোর উদ্যোগও নেওয়া উচিত। এ ছাড়া গণপরিবহনে নারীদের জন্য সুবিধা বাড়াতে হবে। এসব বিষয় ছোট মনে না করে বাজেটে এগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। সবশেষে বলব, বাজেট এমন হওয়া উচিত, যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পায়।