কৃষিসামগ্রীর দাম কম থাকলে উৎপাদন বাড়বে

সাদিদ জামিল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেটাল গ্রুপ

বিদায়ী বছরে কৃষির উৎপাদন ভালো ছিল। চাল, ডাল থেকে শুরু করে সবজি—কোনোটারই তেমন কোনো ঘাটতি হয়নি। মাঝে দাম বেড়ে গিয়েছিল, সেটা অন্য কারণে। বীজ, সারসহ কৃষিসামগ্রীর সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক থাকলে নতুন বছরে উৎপাদনও বাড়বে।

কৃষির সঙ্গে কৃষিযন্ত্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিদায়ী বছরে কৃষিযন্ত্রের বাজার বড় হয়নি। কারণ, ডলারের দামের কারণে কৃষি যন্ত্রপাতির দাম অনেক বেড়ে গেছে। নথিপত্রে ডলারের দাম ১১০ টাকা হলেও কৃষিযন্ত্র আমদানিতে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকাও দিতে হচ্ছে।

ফলে কৃষিযন্ত্রের পাশাপাশি আমদানি করা বীজের দামও বেড়ে গেছে। এতে কৃষকদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে নিত্যপণ্যের পাশাপাশি কৃষিযন্ত্র ও বীজ আমদানিতে ডলারের সরকারি দাম কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

পাশাপাশি ডলারের কারণে যাতে কৃষি খাতের কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর দিলে ভালো হয়। এখন কৃষিযন্ত্রের দামের অর্ধেক ভর্তুকি দেয় সরকার। তবে ভর্তুকির টাকা সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না। আমনের ভর্তুকির টাকা এখনো পাওয়া যায়নি। এতে কৃষিযন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই ভর্তুকির টাকা সময়মতো পরিশোধের ব্যবস্থা করা দরকার।

  • সাদিদ জামিল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেটাল