২০২০ সালে টেকসই অর্থায়ন নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ওই নীতিমালার আলোকে পরিবেশবান্ধব শিল্পসহ টেকসই প্রকল্পে অর্থায়ন বাড়াতে শুরু করেছে অনেক ব্যাংক। এ অর্থায়নের ক্ষেত্রে কেউ বেছে নিচ্ছে কৃষি খাত, কেউবা ইটিপি স্থাপন আর কেউবা বাড়াচ্ছে সিএসআর ব্যয়। টেকসই অর্থায়ন নিয়ে কী ভাবছেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা। ১০ জন এমডি ও সিইওর ভাবনা নিয়ে এ আয়োজন।
দেশের ১ নম্বর টেকসই ব্যাংক হওয়ার লক্ষ্য আমাদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বীকৃতি আমাদের এ পথে এক ধাপ এগিয়ে নেবে। প্রতিটি কাজে টেকসই উন্নয়নের মূল প্রতিপাদ্যকে ধারণ করাই ব্র্যাক ব্যাংকের আগামীর প্রধান অভীষ্ট। দেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে আমরা আমাদের কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। টেকসই শিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তা বিকাশে সহজ শর্তে উদ্ভাবনী অর্থায়ন সুবিধা চালুর জন্য কাজ করছি আমরা। করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে আমাদের দর্শন ‘কেউ পিছিয়ে থাকবে না’। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দেশ ও দেশের মানুষের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নে জলবায়ু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা বেশি বিনিয়োগ করছি। একটি মূল্যবোধভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা মানুষ, ধরণি ও সমৃদ্ধির দর্শনে বিশ্বাস করি। দেশের ব্যাংকিং খাতকে টেকসই করতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। তাদের দিকনির্দেশনা টেকসই ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।