এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিকাশে বাধা

সেলিম রায়হানপ্রথম আলো

উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, ভারতের মূল ভূখণ্ড ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর স্থলবন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য আমদানিতে কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে ফলের রস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী ও তৈরি পোশাক (আরএমজি)। এ ধরনের অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য জটিলতা তৈরি করবে। আমি মনে করি, এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করবে।

নিয়ন্ত্রণমূলক তদারকি একটি দেশের সার্বভৌম অধিকার, তবে এ ধরনের হঠাৎ ও বেছে বেছে কিছু বন্দরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে স্থলপথে বাণিজ্যের খরচ বাড়িয়ে দেয় এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের পণ্যের জন্য প্রাকৃতিক ও গুরুত্বপূর্ণ বাজার এবং সেখানে প্রবেশাধিকার সীমিত করা এ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসাগুলোর দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা ক্ষুণ্ন করবে।

আরও পড়ুন

বিশেষ করে, তৈরি পোশাক রপ্তানি; যা বাংলাদেশের প্রধান খাত—দূরবর্তী সমুদ্রবন্দর যেমন কলকাতা ও নাহাভা শেভাতে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে বলে এই পণ্য রপ্তানিতে বিলম্ব ও অতিরিক্ত ব্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে। এতে উভয় দেশের জন্য উপকারী— এমন বাণিজ্যের সম্ভাবনা ক্ষুণ্ন হবে এবং যে সরবরাহ শৃঙ্খলা বহু বছর ধরে গড়ে উঠেছে, তা চাপের মুখে পড়বে।

আমি আশা করি, দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার চেতনায় এসব অশুল্ক বাধা পুনর্বিবেচনা করা হবে। গঠনমূলক সংলাপ ও বাণিজ্য সহজীকরণে আরও ভালো সমন্বয় উভয় দেশের জন্যই মসৃণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে সহায়ক হবে।

সেলিম রায়হান : নির্বাহী পরিচালক, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)।