ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভাঙার সিদ্ধান্ত বিলম্বে হলেও ভালো হয়েছে

আহসান এইচ মনসুরফাইল ছবি

ন্যাশনাল ব্যাংকে গ্রাহকের জমা রাখা সব টাকা শেষ করে ফেলার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা অনিয়ম কেন এত দিন প্রশ্রয় দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এটা এখন বড় প্রশ্ন। বিলম্বে হলেও সিদ্ধান্তটি ভালো হয়েছে। চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে, এ ক্ষেত্রেও তা–ই হয়েছে। ব্যাংকটির অনিয়ম ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৪ সালেই পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল। পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সব সময় ছিল, কিন্তু তারা সময়মতো এটা প্রয়োগ করেনি। সময়মতো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার ব্যয় বহন করা হয় জনগণের টাকা দিয়েই।

আরও পড়ুন

এখন ইসলামি ধারার কয়েকটি ব্যাংকে একই কায়দায় লুট হচ্ছে, ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো টাকার জোগান দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাঝেমধ্যে সতর্ক করে দায় সারছে। এর ব্যয়ও বহন করতে হবে জনগণকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সময়মতো ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক খাত ও সরকারের ওপর মানুষের আস্থা বাড়ত। দেশের অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ত। এতে ব্যর্থ হলে মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলে। এখন তেমনটাই হয়েছে।

আহসান এইচ মনসুর
নির্বাহী পরিচালক
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট