দেশে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। খেলাপি ঋণ ১৯৮০-এর দশকের মতো না হলেও আমাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে ঋণখেলাপিদের ওপর খড়্গহস্ত হতে আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নেওয়া যেতে পারে।
এর আগেও নির্বাচনের সময় দাবি উঠেছে, খেলাপি ঋণের ৫০ শতাংশ ফেরত না দিলে যেন কাউকে মনোনয়ন না দেওয়া হয়। শেষমেশ দেখা গেছে, খেলাপিরা ৫ থেকে ১০ শতাংশ অর্থ ফেরত দিয়ে পার পেয়ে গেছেন। সে জন্য এবার আমার প্রস্তাব, নির্বাচনে অংশ নিতে হলে ঋণখেলাপিদের ওপর অন্তত এক-তৃতীয়াংশ বকেয়া ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা করা হোক, তাঁরা যে দলের প্রার্থী হোন না কেন।
ঋণ পুনঃ তফসিলের বিষয়ে বলা দরকার, ১৯৮০-এর দশকে রেহমান সোবহান ও বিআইডিএসের গবেষকেরা দেখিয়েছেন, এতে লাভ হয় না। তাই ঋণ পুনঃ তফসিলের সুযোগ চারবারের বদলে দুবার পর্যন্ত দেওয়া উচিত। এ ছাড়া ঋণ পুনরুদ্ধারে পুনঃ তফসিলের বদলে ক্যাশ রিকভারি বা নগদ পুনরুদ্ধারে জোর দেওয়া প্রয়োজন।
দেশে খেলাপি ঋণের বড় একটি অংশ রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে। এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ তাদের মোট সম্পদের ২৫ শতাংশের সমপরিমাণ। এ বাস্তবতায় এবারের নির্বাচনে ঋণখেলাপিদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়া হলে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতিতে জোরেশোরে ধাক্কা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।