সাময়িক চাহিদা মিটে আবার সংকট শুরু হবে

আহসান এইচ মনসুর

ডলার–সংকট নিরসনে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে হয়তো পাঁচ-সাত দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। তাতে সাময়িক চাহিদা মিটে আবার সংকট শুরু হবে। এ পর্যন্ত যত উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে, তার সবই স্বল্পমেয়াদি। সে জন্য ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। ঋণের সুদহারের সীমাও তুলে দিতে হবে। ঋণের সুদ কম হওয়ায় টাকা সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। ফলে মানুষের চাহিদাও বেড়ে গেছে। চাহিদা কমাতে সুদের হারের সীমা তুলে দিতে হবে, তেল ও গ্যাসের দাম বাড়াতে হবে।

বাজারব্যবস্থার মাধ্যমে সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। রেশনিং করে এই সংকট থেকে উত্তরণ মিলবে না। রেশনিং কোনো সমাধান নয়। রেশনিং করলে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হয়ে যাবে। এ জন্য দাম বাড়াতে হবে, চাহিদা কমিয়ে আনতে হবে।

রপ্তানি আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। ডলারের দাম বাড়ায় রপ্তানিকারকেরা এখন ভালো দাম পাচ্ছেন। তবে বিশ্ববাজারে চাহিদা কমে গেলে আমাদের কিছু করার নেই। প্রবাসী আয় বাড়াতে ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দামের পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে। প্রণোদনা দিয়ে প্রবাসী আয় বাড়ানো যাবে না। দামের পার্থক্য কমে এলেই বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়বে।

আহসান এইচ মনসুর

নির্বাহী পরিচালক

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট