এসি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে

দেশে এসির বাজার বড় হচ্ছে। বছর বছর তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে তাতে এসি আর নিছক বিলাস দ্রব্য নয়; অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। এই বাস্তবতায় আজ প্রথম আলো দেশের এসির বাজার নিয়ে বিশেষ আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মনিকা ইসলাম।

প্রশ্ন:

এবার গরম বেশি পড়ছে। এসির বেচাকেনা কেমন চলছে?

মনিকা ইসলাম: গরমে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে এবং এসি বিক্রির পরিমাণ ইতিমধ্যে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ তার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে তাপপ্রবাহ থেকে প্রশান্তির জন্য এসি কেনার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রশ্ন:

মার্চ–এপ্রিল ছাড়া বছরের অন্য সময় এসির বিক্রি কেমন?

মনিকা ইসলাম: সাধারণত ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে জুন পর্যন্ত সময়টাকে এসি বিক্রির মৌসুম
বলা হয়ে থাকে। মার্চ মাস থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, ফলে এপ্রিল, মে ও জুনে এসি বিক্রি
হয় সবচেয়ে বেশি। বছরের ৮০-৮৫ শতাংশ বিক্রি হয় এ সময়ের মধ্যে। সারা দেশে চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। স্বস্তি পেতে অনেকেই ছুটছেন এসি কিনতে।

প্রশ্ন:

এসি তো বিলাসপণ্য হিসেবে গণ্য করা হতো। এখন কি এটা মধ্যবিত্তও কিনছে? 

মনিকা ইসলাম: আপনি ঠিকই বলেছেন, একটা সময় এসিকে বিলাসী পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এটি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিকস পণ্য হয়ে উঠেছে। তা ছাড়া জীবনযাত্রায় মানের উন্নতি আর সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার উন্নতির ফলে শহর থেকে গ্রাম অঞ্চলেও এসির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।

প্রশ্ন:

ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে অন্য শহরগুলোয় কেমন বিক্রি হয়?

মনিকা ইসলাম: একটা সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেটসহ বড় বড় শহরগুলোয় যমুনা এসির বিক্রি বেশি ছিল। কিন্তু সময়ের পথপরিক্রমায় যমুনা এসির গ্রাহক এখন বড় বড় শহর থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত রয়েছে।

প্রশ্ন:

দেশে এসি তৈরির কয়টি কারখানা আছে? বিনিয়োগ কেমন?

মনিকা ইসলাম: দেশি ও বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা রয়েছে, যারা এসি উৎপাদন করছে। বিনিয়োগের একটা বড় অংশ এই প্রতিষ্ঠানগুলো এসি উৎপাদনে ব্যয় করছে। যমুনা ইলেকট্রনিকস শুরু থেকেই মানসম্পন্ন এসি উৎপাদনের মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে দেশের ভোক্তাদের কাছে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।