শৃঙ্খলা ফেরানো ছাড়া আর্থিক খাত ঠিক হবে না

সালেহউদ্দিন আহমেদছবি : প্রথম আলো

এখন দেশের প্রধান সমস্যা মূল্যস্ফীতি। বেসরকারি খাতে যা ঋণ দেওয়া হচ্ছে, তা বড়রা নিয়ে যাচ্ছে। এসব ঋণের অপব্যবহার হচ্ছে বেশি। উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বাড়িয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতকে চাঙা করতে হবে। পাশাপাশি কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ খাতে ঋণ বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এতে পণ্যের দাম কিছুটা কমে আসবে, যা মূল্যস্ফীতি কমাতে সহায়তা করবে।

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আকার কমানো ও ডলার-সংকটের কারণে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। এ জন্য পোশাকের বিকল্প হিসেবে চামড়া, সিরামিকসহ অন্য খাতগুলোর জন্য বিশেষ নীতিসহায়তা দিতে হবে।

আরও পড়ুন

দেশের আর্থিক হিসাব ঘাটতিতে পড়েছে। এই হিসাবকে ভালো করতে প্রবাসী আয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে হবে।

এখন শুধু নীতি সুদহার বাড়ানোর জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রয়োজন নেই। আর্থিক খাত ঠিক করতে যথাযথ তদারকি নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে হবে। বিশেষ ব্যাংকগুলোকে ছাড় দিয়ে আর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বরদাশত করা ঠিক হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। শৃঙ্খলা না ফিরলে আর্থিক খাত ঠিক হবে না। আমানতকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে ঋণের যথাযথ ব্যবহার পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে।

  • সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক