দেশের স্টার্টআপের জন্য এটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি 

শাহীর চৌধুরী

স্টার্টআপ খাতের অর্থায়ন নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও প্রগতিশীল। এটি কেবল অর্থায়নের সুযোগই তৈরি করবে না; স্টার্টআপ খাতের তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের জন্য একধরনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। এর ফলে ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তাদের জন্য মূলধন জোগান আরও সহজ হয়ে যাবে।

এই নীতিমালার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক দূরদর্শিতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের বাস্তবতায় প্রথাগত ব্যাংকিং কাঠামো ও অর্থায়নব্যবস্থার মধ্যে বড় ব্যবধান ছিল, যা স্টার্টআপগুলোর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ৫০০ কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল ও মূলধন বিনিয়োগ তহবিল দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

এই তহবিলের আওতায় একটি স্টার্টআপ প্রাথমিক পর্যায়সহ চারটি শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ ও মূলধন; দুই ধরনের পুঁজি পাবে। এটি আমাদের আরও বেশি আত্মবিশ্বাস জোগাবে ও টেকসই প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এখন ব্যাংকগুলো স্টার্টআপকে নিজের মতো করে মূল্যায়ন করতে পারবে। কোন স্টার্টআপ ঋণ পাবে, কোনটা পাবে না, সেটাও ব্যাংক এখন নিজেরা বিশ্লেষণ করতে পারবে।

এই নীতিমালা প্রণয়নের প্রক্রিয়াতে স্টার্টআপ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (এসএবি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ধারাবাহিক বৈঠক, খসড়া প্রস্তাব ও বাস্তবভিত্তিক সুপারিশের ফলাফল হিসেবেই পূর্ণাঙ্গ নীতিমালাটি বাস্তবায়িত হয়েছে।

এখন আমাদের দৃষ্টি থাকবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দিকে। এই নীতির বাস্তবায়নের জন্য তারা যেন দ্রুততম সময়ে তাদের অভ্যন্তরীণ নীতিমালায় পরিবর্তন আনে।

শাহীর চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), শিখো