দেশে এসির বাজারের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল

দেশে এসির বাজার বড় হচ্ছে। বছর বছর তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে তাতে এসি আর নিছক বিলাস দ্রব্য নয়; অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। এই বাস্তবতায় আজ প্রথম আলো দেশের এসির বাজার নিয়ে বিশেষ আয়োজন করেছে। এই আয়োজনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মো. নূর এ আলম

প্রশ্ন:

বাংলাদেশে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) বাজার কেমন যাচ্ছে?

নূর এ আলম: দেশে কয়েক বছর ধরেই এসির বাজার বাড়ছে। গরম, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শতভাগ বিদ্যুতায়ন এসির বাজার বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।

প্রশ্ন:

এসিকে তো বিলাস পণ্য হিসেবে গণ্য করা হতো। এখনকার বড় ক্রেতা কোন শ্রেণি?

নূর এ আলম: এসিকে এখন আর শুধু বিলাস পণ্য বলার সুযোগ নেই। প্রয়োজনের কারণে এসি এখন মধ্যম আয়ের মানুষেরাও কিনছেন।

প্রশ্ন:

ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে অন্য শহরগুলোয় কেমন বিক্রি হয়?

নূর এ আলম: ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে অন্যান্য বিভাগীয় ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে বিক্রি অনেক ভালো। যেমন খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, যশোর, বগুড়া, বরিশাল, রংপুর ইত্যাদি শহর এসি বিক্রির উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র।

প্রশ্ন:

এসি এখন দেশে তৈরি হয়। আসলে আমরা কী কী তৈরি করি?

নূর এ আলম: হ্যাঁ, এসি দেশে তৈরি হয়। বিভিন্ন কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানি করে দেশের কারখানায় এসি তৈরি করা হয়।

প্রশ্ন:

বাংলাদেশের ক্রেতারা এসি কেনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেন?

নূর এ আলম: বাংলাদেশের মানুষ মানকে বেশি প্রাধান্য দেন। কোনো মানুষই তাঁর কষ্টার্জিত টাকায় কেনা এসি কিছুদিন পরপর মেরামতের প্রয়োজন হবে, সেটা চান না। তাঁরা চান দীর্ঘ সময় ঝামেলা ছাড়া ব্যবহার করতে। এসির বিদ্যুৎ খরচ যেন কম হয়, এটা তাঁরা প্রত্যাশা করেন। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা চান এসি যেন লবণাক্ত উপকূলীয় জলবায়ুর হাত থেকে তাঁদের সুরক্ষা দেয়। মোটকথা, দেশের জলবায়ু ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই ও টেকসই এসিই বাংলাদেশের মানুষের পছন্দ।

প্রশ্ন:

বাংলাদেশে এসির বাজারের ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল, আপনার কী মত?

নূর এ আলম: বাংলাদেশে এসির বাজারের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেই আমি মনে করি। বাংলাদেশে জনসংখ্যা বেশি, মানুষের আয় বাড়ছে, ফলে ভবিষ্যতে এসির চাহিদা বাড়বে। এসি দেশে উৎপাদন করলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে এবং জাতি হিসেবে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারব।