২০২০ সালে টেকসই অর্থায়ন নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ওই নীতিমালার আলোকে পরিবেশবান্ধব শিল্পসহ টেকসই প্রকল্পে অর্থায়ন বাড়াতে শুরু করেছে অনেক ব্যাংক। এ অর্থায়নের ক্ষেত্রে কেউ বেছে নিচ্ছে কৃষি খাত, কেউবা ইটিপি স্থাপন আর কেউবা বাড়াচ্ছে সিএসআর ব্যয়। টেকসই অর্থায়ন নিয়ে কী ভাবছেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা। ১০ জন এমডি ও সিইওর ভাবনা নিয়ে এ আয়োজন।
ব্যাংক এশিয়া যাত্রার শুরু থেকেই টেকসই ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ২০২১ সালের শেষে আমাদের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অর্থায়নের স্থিতি ছিল যথাক্রমে ৬৬৩ কোটি ও ৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি ও সম্পদ ব্যবহারে দক্ষতা, পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন ও পরিবেশবান্ধব স্থাপনার ক্ষেত্রে অর্থায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। এ ছাড়া আমরা সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে গত তিন বছরে মোট প্রায় ২৫ কোটি টাকা বিতরণ করেছি। প্রতিটি ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে ব্যাংক এশিয়া পরিবেশগত এবং সামাজিক নিয়মাচার অনুসরণ করে থাকে, যার ফলে টেকসই কোর ব্যাংকিংয়ে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ়। এসব বিবেচনায় পরপর দুই বছর টেকসই রেটিংয়ে আমরা শীর্ষ ১০ ব্যাংকের মধ্যে অবস্থান করে নিয়েছি। এ স্বীকৃতি ব্যাংক এশিয়াকে ভবিষ্যৎ পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অর্থায়ন আরও বৃদ্ধি করতে অনুপ্রাণিত করবে।