ব্যবসা পরিচালনা করা আরও কঠিন হবে

আবুল কাসেম খান

আমরা ব্যবসায়ী সমাজ উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়াতে সরকারকে অনুরোধ করেছিলাম। নানা কারণে শিল্পকারখানার উৎপাদন খরচ বাড়ছে। তা ছাড়া আগেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

সেই বিবেচনায় আমরা এখন বিদ্যুতের দাম না বাড়াতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু সরকার তার নিজের বিবেচনায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেশে বাসাবাড়ি থেকে শিল্পকারখানা—সব জায়গাতেই কমবেশি বিদ্যুতের ব্যবহার হয়। ফলে সব খাতে এ মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে।

সব সময় আমাদের দাবি হচ্ছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকার আগে থেকে জানিয়ে দিলে সবাই সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারে। কারণ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ হচ্ছে সরাসরি খরচ।

যেখানে সরাসরি খরচ বৃদ্ধির বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকে, সেখানে ব্যবসা পরিচালনায় একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এটা কেউ চায় না। এখন বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে যে আর বাড়ানো হবে না, সেই নিশ্চয়তা যদি আমরা পেতাম, তাহলেও কিছু পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।

মূল্যস্ফীতির কারণে একধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। আমদানিতে টাকার মান পড়ে গেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। নতুন করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। সত্যিকার অর্থেই ব্যবসা পরিচালনা আরও কঠিন হয়ে যাবে।

অতীতে বিদ্যুতের দাম বাড়াত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এবার সরকার নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সরকার হয়তো পরিস্থিতির কারণে এমনটি করেছে। তবে বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভালো হয়নি।

আবুল কাসেম খান সাবেক সভাপতি, ঢাকা চেম্বার