করোনার কারণে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) অর্থনীতি বিপর্যয়ে পড়ে। এ সময় উৎপাদন ও সরবরাহ—দুটোই প্রায় বন্ধ ছিল। কৃষিবহির্ভূত অর্থনীতিতে অচলাবস্থা ছিল। এখন অর্থনীতি খুলেছে। তবে করোনার আগের গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের (জুলাই-মার্চ) মতো অবস্থায় ফিরে যেতে পারেনি। করোনার কারণে অর্থনীতিতে চাহিদা সংকুচিত হয়েছে। সরবরাহেও প্রতিবন্ধকতা আছে।
আমরা দেখতে পাচ্ছি অর্থনীতি সচল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অনিশ্চয়তা কাটেনি। করোনার কারণে যেসব কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়েছে, তাদের অনেকেই এখনো আগের মতো উৎপাদনে ফিরে যেতে পারেনি। ফলে প্রবৃদ্ধির ওপর চাপ তৈরি হবে। এসব কারণে অর্থনীতি করোনার পূর্ববর্তী জায়গায় ফিরে যাওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
বেসরকারি বিনিয়োগও তেমন হচ্ছে না। উৎপাদন খাতে চাঞ্চল্য নেই। অভ্যন্তরীণ চাহিদাও কমেছে। এসব কারণে বিশ্বব্যাংক চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দিয়েছে, সেটি বাস্তবসম্মত।
আমাদের রপ্তানি গন্তব্য ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ লাগার বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। সেসব দেশে চাহিদা কমবে। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে ‘ভি’ আকৃতির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার চিন্তা করা হচ্ছে, তা হবে না বলে মনে হচ্ছে। ১৭-১৮ শতাংশ মানুষ নতুন করে কর্মহীন হয়েছেন। দারিদ্র্য বেড়েছে ১৫ শতাংশ। এসব কারণে ‘ইউ’ আকৃতির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হবে বলে মনে হচ্ছে।
বেসরকারি বিনিয়োগও তেমন হচ্ছে না। উৎপাদন খাতে চাঞ্চল্য নেই। অভ্যন্তরীণ চাহিদাও কমেছে। এসব কারণে বিশ্বব্যাংক চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দিয়েছে, সেটি বাস্তবসম্মত। বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা তৈরির চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশকে এখন থেকেই টিকা কেনার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। আবার তা যেন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। আমি মনে করি, টিকা পাওয়া গেলে অর্থনীতি পূর্ণমাত্রায় সচল রাখা সম্ভব হবে।