করোনা মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে এডিবির বার্ষিক সভা আজ

আজ বৃহস্পতিবার থেকে ভার্চ্যুয়াল উপায়ে শুরু হবে এডিবির দুই দিনব্যাপী বার্ষিক সাধারণ সভা।

করোনার কারণে কত কিছু ওলট-পালট হয়ে গেছে। যেমন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা গত ১ মে কোরিয়ায় ইনচনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে তা তখন বাতিল করা হয়। পরে একই মাসে সীমিত পরিসরে ভার্চ্যুয়াল উপায়ে একটি সভা হয়। তখন বলা হয়েছিল, সেপ্টেম্বর মাসে আবার বড় পরিসরে বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

দুই দফা পেছানোর পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে ভার্চ্যুয়াল উপায়ে শুরু হবে এডিবির দুই দিনব্যাপী বার্ষিক সাধারণ সভা। এটি এডিবির ৫৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা। এবারে প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে করোনা।

সভায় করোনায় বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে। বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরেরা ওয়েবিনারের মাধ্যমে সভায় সংযুক্ত হবেন। এতে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। আগামীকাল বক্তব্য রাখবেন এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া।

এবারের বার্ষিক সভায় সব মিলিয়ে ছয়টি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, দুটি ওয়েবিনার করোনা মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতাসংক্রান্ত। এই দুটি অধিবেশনে কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, আজারবাইজান, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রীরা বক্তব্য দেবেন।

করোনা সংকট মোকাবিলায় এডিবি ২ হাজার কোটি ডলারের তহবিল গঠন করেছে, যা থেকে সদস্য দেশগুলোকে ঋণ ও অনুদান সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ এই পর্যন্ত ৬০ কোটি ২৮ লাখ ডলার পেয়েছে। এর মধ্যে গত মে মাসে ৫০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা দিয়েছে এডিবি।

সভায় মূলত করোনা সংকট মোকাবিলা করতে কীভাবে নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি কোভিড থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে অর্থনীতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায়, তা–ও আলোচনায় আসবে।

করোনা সংকট মোকাবিলায় এডিবি ২ হাজার কোটি ডলারের তহবিল গঠন করেছে, যা থেকে সদস্য দেশগুলোকে ঋণ ও অনুদান সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ এই পর্যন্ত ৬০ কোটি ২৮ লাখ ডলার পেয়েছে। এর মধ্যে গত মে মাসে ৫০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা দিয়েছে এডিবি। এই টাকা দিয়ে মূলত ২০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন–ভাতা দেওয়ার তহবিলেও কাজে লাগানো হয়েছে।