টিআইএনের বাধ্যবাধকতা তুলে দিলে গ্রাহক বাড়বে

ক্রেডিট কার্ড মানুষের জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন এনেছে, যদিও এই সেবা সারা দেশে বিস্তৃত হয়নি। আবার কার্ডের সুদ ও মাশুল নিয়ে অনেকের প্রশ্ন রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবসা কী বাড়ছে?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে দেশে ক্রেডিট কার্ড এসেছিল। এরপর দিন দিন এটি জনপ্রিয় উঠতে থাকে। যদিও যত আগে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার শুরু হয়েছিল সেই তুলনায় গ্রাহক বাড়েনি। বিশেষ করে গত ৮-১০ বছরেই এটি বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। তবে করোনার কারণেই গ্রাহকেরা এখন আগের চেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন। অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও লেনদেন অনেক বেড়েছে। চলতি ২০২১ সালে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৮ শতাংশ। আর ই-কমার্সে লেনদেন বেড়েছে ১৬৭ শতাংশ।

প্রশ্ন :

কার্ডের গ্রাহকসংখ্যা সেভাবে বাড়ছে না কেন?

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান: দেশে গত ১০ বছরে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় যত গ্রাহক তৈরি হয়েছে, সেই তুলনায় কিন্তু কার্ডের সংখ্যা বাড়েনি। নথিপত্রসংক্রান্ত জটিলতার কারণেই মূলত এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেমন, ক্রেডিট কার্ড পেতে হলে টিআইএন (কর শনাক্তকরণ) নম্বর থাকতে হয়। অথচ আমাদের দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা বেশি না। ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যাও কাছাকাছি। টিআইএন ছাড়া কেউ ক্রেডিট কার্ড করতে পারে না। ব্যাংকগুলো ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক। একটা কার্ড দিতে নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মাধ্যমে কার্ড দেওয়া যায় কি না, সেটি ভেবে দেখা যেতে পারে। সরকার যদি ৫ লাখ টাকার নিচে লেনদেনের কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে টিআইএনের বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়, তাহলে কার্ডের গ্রাহক সহজেই বাড়বে। এসএমই ঋণের ক্ষেত্রে এমন বিধান আছে।