বাংলাদেশের বাজেটের অর্থনীতি ও রাজনীতির সন্ধানে

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব আকবর আলি খানের নতুন বই বাংলাদেশে বাজেট: অর্থনীতি ও রাজনীতি মূলত তাঁর ১৪ বছরের গবেষণার ফল

আকবর আলি খান

পরার্থপরতার অর্থনীতি দিয়েই পাঠকদের চমকে দিয়েছিলেন আকবর আলি খান। ২০০০ সালে যখন বইটি বের হয়, তখন তিনি মূলত একজন আমলা। অর্থনীতি মানেই জটিল, দুর্বোধ্য কিছু, নির্দিষ্ট পাঠক—এই ধারণার বাইরে গিয়ে লেখার নতুন এক রীতি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। রীতিটি হচ্ছে, রম্যরচনার ঢঙে বৈঠকি মেজাজে লেখা। বলা যায়, বাংলা ভাষায় অর্থনীতিচর্চায় নতুন এক ধারার প্রবর্তক আকবর আলি খান। পরার্থপরতার অর্থনীতি বইয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘আশা করা যাচ্ছে যে এই বই অর্থনীতি নামক হতাশাবাদী ও দুর্বোধ্য বিজ্ঞান সম্পর্কে বিতর্কে অংশগ্রহণের জন্য সাধারণ পাঠকদের উদ্দীপ্ত করবে।’ বলা বাহুল্য, এর পরের ২০ বছর অর্থনীতির পাঠকদের উদ্দীপ্ত করেই রেখেছেন আকবর আলি খান।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন শেষে আকবর আলি খান অর্থসচিব হয়েছিলেন ১৯৯৫ সালে। এ সময় অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা লেখার রীতি ও ভাষার পরিবর্তন হয়তো অনেকেরই চোখ এড়ায়নি। লেখক আকবর আলি খানের খানিকটা পরিচয় মিলেছিল সে সময়েই। আমলাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়েই সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। এর পরের ২০ বছরে আকবর আলি খান নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মূলত একজন গবেষক হিসেবেই। তাঁর সর্বশেষ বই বাংলাদেশে বাজেট: অর্থনীতি ও রাজনীতি তাঁর ১৪ বছরের গবেষণারই ফল। বাজেটের মতো মহা দুর্বোধ্য ও একটি সংখ্যাসর্বস্ব বিষয় নিয়ে গবেষণা করে তা সহজ ভাষায় পাঠকের সামনে হাজির করা মোটেই সহজ কাজ নয়। ৯টি বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই বইটিতে আছে অভিজ্ঞতার সঙ্গে তত্ত্বের সংমিশ্রণ।

আকবর আলি খান এর আগে ২০০৮ সালে ‘বাংলাদেশের বাজেট প্রক্রিয়ায় গণমানুষের অংশীদারিত্ব: কতিপয় নীতিমালা সংস্কারের অন্বেষা’ শিরোনামে একটি নীতিগবেষণা প্রকাশ করেছিলেন। মুখবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার প্রত্যাশা এই সমীক্ষা আরও অনেককে এ বিষয়ে গভীরতর গবেষণায় উৎসাহী করবে।’ বাস্তবতা হচ্ছে, বাজেট নিয়ে গভীরতম গবেষণাটি তাঁকেই আবার করতে হয়েছে। নতুন বইয়ে এটি ছাড়াও সরকারের অপচয় নিয়ে আরেকটি পুরোনো লেখা তিনি যুক্ত করেছেন। বলা যায়, এতে বাজেট নিয়ে গবেষণাটি পূর্ণাঙ্গ হয়েছে। বইটিতে বাজেটের পরিবর্তনগুলো যেমন ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধানগুলোও খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এখানেই বইটির বিশেষত্ব।

আমরা বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রমাণ হিসেবে স্বাধীন হওয়ার পর দেশের প্রথম বাজেট ও সর্বশেষ বাজেটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তুলনা করি। তাতে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের বাজেট ৭২২ দশমিক ৬ গুণ বড়। আকবর আলি খান লিখেছেন, এই তথ্য সঠিক কিন্তু তথ্যের ব্যাখ্যা একেবারেই ভুল। কেননা, এই তুলনা বাজারমূল্যে করা, স্থির মূল্যে নয়। এরপর তিনি রেখাচিত্রের মাধ্যমে দেখালেন যে স্থির মূল্যে বাজেট আসলে মাত্র ১০ গুণ বেশি। যদিও বইটিতে প্রকাশিত রেখাচিত্রের অক্ষরগুলো এতই ক্ষুদ্র যে পাঠকের পক্ষে তা উদ্ধার করা সহজ নয়। আরেকটি চমকপ্রদ তথ্যের কথা উল্লেখ করা যেতে পেরে। যেমন ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশের বাজেট ছিল স্থূল জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ১৭.৪ শতাংশ। আর ২০২০-২১ সালে অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাংলাদেশের বাজেট জিডিপির ১৭.৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত ৪৯ বছরে বাংলাদেশে জিডিপির হিস্যা হিসাবে বাজেট মাত্র ০.৫ শতাংশ বেড়েছে।’

বাজেট পরিসংখ্যান নিয়ে এ রকম আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্য দিয়ে আকবর আলি খান লিখেছেন, ‘বাজেটের সংখ্যায় আমাদের অভিভূত হলে চলবে না। সংখ্যাকে বিচার-বিবেচনা করে মূল্যায়ন করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাজনীতিবিদেরা এই কাজটি তাঁদের মতো করে করতে চান। তাঁদের বক্তব্যে যুক্তি নয়, প্রচারণার জোর বেশি থাকে।’ আরেক জায়গায় তিনি লিখলেন, ‘বাজেটে রাজনীতিবিদদের আগ্রহ ব্যয় বরাদ্দে, যত ব্যয় বাড়বে, তত রাজনীতিবিদদের মক্কেলদের খুশি করা যাবে। সরকারের যত ব্যয় বেশি হবে, তত রাজনীতিবিদদের জন্য অনুপার্জিত মুনাফা বা ঘুষের পরিমাণ বাড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে অর্থনীতিবিদেরা আয় এবং ব্যয়—উভয় বিষয় নিয়েই উদ্বিগ্ন। বাজেট যদিও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, তবু বাজেট শুধু রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া সঠিক হবে না।’

বাংলাদেশের বাজেটে অস্বচ্ছ ও অস্পষ্ট। সাধারণ মানুষের পক্ষে বাজেট বুঝতে পারা মোটেই সহজ নয়। আকবর আলি খান এ রকম কিছু অস্বচ্ছতা ও অস্পষ্টতার কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন:

  • ১. বাজেটে কর ও অকর রাজস্বের হিসাব দেওয়া হয়। কিন্তু এই সংখ্যাগুলো কী অনুমানের ওপর নির্ধারণ করা হয়, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় না। অনুমানসমূহ স্পষ্ট না করা হলে কর এবং অকর রাজস্ব সম্পর্কে সুষ্ঠু আলোচনা সম্ভব হয় না।

  • ২. প্রতিরক্ষা বাজেটে শুধু মোট ব্যয় উল্লেখ করা হয়। এই বাজেটের বিস্তারিত বিবরণ বাজেটে দেওয়া হয় না। এর ফলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেট সম্পর্কে কোনো অর্থবহ আলোচনা সম্ভব হয় না।

  • ৩. বাজেটে ব্যয়ের প্রাক্কলনসমূহ উপস্থাপন করা হয় কিন্তু প্রকৃত ব্যয়ের কোনো তথ্য থাকে না। এর ফলে ব্যয় বরাদ্দ সম্পর্কে সুষ্ঠু আলোচনা করা সম্ভব হয় না।

  • ৪. বাজেটে ঘাটতি কম করে দেখানো হয়। বাজেটে প্রচ্ছন্ন ঘাটতি সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয় না। যদি সরকারের কোনো সংস্থা বাজেটবহির্ভূত কোনো দায়ের সৃষ্টি করে, তাহলে সেই দায় মেটানোর কোনো ব্যবস্থা বাজেটে নেই। সম্প্রতি বাজেটে প্রচ্ছন্ন দায় সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হয়ে থাকে কিন্তু প্রচ্ছন্ন দায় সম্পর্কে কোনো বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয় না।

  • ৫. বাজেট পাঠকবান্ধব নয়। অনেক ক্ষেত্রেই নিট এবং স্থূল সংখ্যার মধ্যে তফাত সুস্পষ্টভাবে দেখানো হয় না।

  • ৬. সম্পূরক বাজেটে যথেষ্ট তথ্য থাকে না। এ বাজেট থেকে বোঝার উপায় নেই কেন এবং কোথায় অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন রয়েছে।

৫০ বছর ধরে বাজেট অনুমোদনের সর্বশেষ তারিখের ১৬.৫৪ দিন আগে বাজেট পাস করা হয়েছে। বাজেট আলোচনার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এ সময় খুবই কম। আর সম্পূরক বাজেটের আলোচনার জন্য বরাদ্দ করা সময় আরও কম।

আকবর আলি খানের ভাষায়, ‘সরকারের বাজেটের লক্ষ্য শুধু সরকারের আয় ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা নয়, এর লক্ষ্য হলো দেশের জনগণের জন্য গ্রহণযোগ্য একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। বাজেটের কর্মকাণ্ড তাই অনেক ব্যাপক।’ আবার এটাও ঠিক যে সংবিধানে বাজেট শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। তবে যে আর্থিক বিবৃতির কথা বলা হয়েছে, সেটাই বাজেট। এ বিষয়টি নিয়ে লেখক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। একটা সময় সরকারের আয়-ব্যয়ের সব হিসাব কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হতো না। ১৯৯২ সালে রিবেক নামের এক প্রকল্পের মাধ্যমে এ কাজটি শুরু হয়, তা শেষ হয় ২০০১ সালে। আর সরকার অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন কার্যকর করে ২০০৯ সাল থেকে। মূলত এর পর থেকে বাংলাদেশের বাজেট পদ্ধতিতে বেশ খানিকটা পরিবর্তন আসে। যদিও এ নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা কোথায় দেখা যায় না। আকবর আলি খান এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, বাজেট বোঝার জন্য যা খুবই জরুরি।

এখন তো বাজেট উপস্থাপনার সময়ে মধ্যমেয়াদি বাজেট, লিঙ্গভিত্তিক বাজেট ও শিশু বাজেট নামে তিনটি দলিল পেশ করা হয়। এই তিন দলিলের মূল্যায়নও রয়েছে বইটিতে। এসব বাজেট যে যত্নের সঙ্গে করা হয় না, তা স্পষ্ট করেই বলেছেন তিনি। একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা আছে সরকারের আয়-ব্যয় নির্ধারণে সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে। তিনি দেখিয়েছেন, ৫০ বছর ধরে বাজেট অনুমোদনের সর্বশেষ তারিখের ১৬.৫৪ দিন আগে বাজেট পাস করা হয়েছে। বাজেট আলোচনার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এ সময় খুবই কম। আর সম্পূরক বাজেটের আলোচনার জন্য বরাদ্দ করা সময় আরও কম। এই আলোচনার সময় বাড়ানো সম্ভব যদি সংসদীয় কমিটি ও উপকমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের কমিটি আছে ঠিকই, কিন্তু বাজেট নিয়ে স্থায়ী কমিটিতে আলোচনার সুযোগই রাখা নেই। এসব নিয়ে শুরুতেই যেমনটা তিনি বলেছেন, ‘বাজেট ব্যবস্থায় জনগণের স্বার্থরক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের কাছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের নিজেদের বিবেকের আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন না। দলীয় রাজনীতির প্রভাবে গণপ্রতিনিধিরা “রাবার স্ট্যাম্প” হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বাজেট অনুমোদনে তাঁদের বিবেকের ভূমিকা নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাজেটের অনুমোদন দলীয় রাজনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।’

সরকারি অর্থের অপচয়, দুর্নীতি, জবাবদিহির অভাব—এসব বিষয় ছাড়া যে কোনো বাজেট আলোচনাই অর্থহীন। দেশের হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতির দুর্বলতা, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীনে পরিচালিত অডিট আপত্তি দুর্নীতি চিহ্নিত করে দুর্নীতির সাজা দিতে না পারা, নিরীক্ষা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করতে চার ধরনের স্থায়ী কমিটি থাকলেও বেশ কিছু দুর্বলতার কারণে তা কার্যকর না থাকার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন আকবর আলি খান। তবে সরকারি অর্থের অপচয়, প্রকল্প বাছাই ও বাস্তবায়ন, কেনাকাটায় দুর্নীতি—এসব বিষয়ে চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতাগুলো যদি জানাতেন, তাহলে পাঠকদের কৌতূহল অনেকটাই মিটত। নয়টি বাজেট প্রণয়নের সময় নিশ্চয়ই এ ধরনের অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছিল।

আকবর আলি খান বাজেট ব্যবস্থাপনা সংস্কারে বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেছেন। এসব সুপারিশ বইটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাঠক ও নীতিনির্ধারকদের জন্য বাছাই করা পাঁচটি সুপারিশ উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমন ১. বাজেটের পুরোনো অনেক জঞ্জাল ঝেড়েমুছে পরিষ্কার করার জন্য কমপক্ষে প্রতি পাঁচ বছরে একটি সরকারি ব্যয়সংক্রান্ত সমীক্ষা করা। এই সমীক্ষার মাধ্যমে সরকারের সব ধরনের ব্যয় ও দায়দায়িত্ব বিশ্লেষণ করে কী কী কমালে অর্থনীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না, তা চিহ্নিত করা। ২. বাজেট নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনার জন্য সংসদীয় কমিটিগুলোকে ব্যবহার। সংসদীয় কমিটিগুলোতে বাজেট আলোচনাতে সরকারি কর্মকর্তা এবং বাইরের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব। তাঁদের বক্তব্য শুনে এবং পেশ করা বিভিন্ন দলিল পড়ে সাংসদেরা বাজেট নিয়ে সংসদে আলোচনা করলে তা অনেক অর্থবহ হবে। ৩. বাংলাদেশে সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে বাজেট আলোচনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনুকরণে বাংলাদেশে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া উচিত। ৪. নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে চার ধরনের স্থায়ী কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি হিসাবসম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি রেখে অনুমিত হিসাবসম্পর্কিত কমিটি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি তুলে নেওয়া। ৫. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংসদ বাজেটের আকার নির্ধারণ করে। কিন্তু বাংলাদেশে এ ক্ষমতা দেওয়া আছে অর্থমন্ত্রীকে। এই ক্ষমতা অর্থমন্ত্রীকে না দিয়ে সংসদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটিকে দিলে বাজেট অধিকতর স্বচ্ছ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কোনো সন্দেহই নেই যে পাঠকেরা এই বই পড়ে একই সঙ্গে আনন্দিত হবেন ও আলোকিত হবেন। নীতিনির্ধারকেরা কতটুকু নেবেন, সেটাই প্রশ্ন। তবে বাজেটকে অর্থবহ, অংশগ্রহণমূলক ও কার্যকর করতে হলে আকবর আলি খানের এই বই বিবেচনায় নিতেই হবে।

শওকত হোসেন: প্রথম আলোর বিশেষ বার্তা সম্পাদক

[email protected]

বাংলাদেশে বাজেট: অর্থনীতি ও রাজনীতি, আকবর আলি খান (প্রথমা প্রকাশন, প্রথম প্রকাশ: মার্চ ২০২১, প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল, মূল্য: ৫০০ টাকা)