অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিলে মানুষ বিপাকে পড়ে

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও চট্টগ্রাম চেম্বারের যৌথ আয়োজনে ‘দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথিরা। রোববার চট্টগ্রাম নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারেছবি: ট্যারিফ কমিশনের সৌজন্যে

দেশে বিভিন্ন সংকটের সময় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এতে ভোগান্তি হয় সাধারণ মানুষের, ভাবমূর্তি নষ্ট হয় সরকারের।

রোববার চট্টগ্রাম নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) চেয়ারম্যান আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

‘দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের ভূমিকা’ শিরোনামে এ সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও ট্যারিফ কমিশন।

সেমিনারে ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রামে ট্যারিফ কমিশনের শাখা করা, নিত্যপণ্যে শুল্কছাড়, শুল্কনীতি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবি জানান।

ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে। এতে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ আসবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমদানি ও রপ্তানি স্বাভাবিক রাখা, দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা পেতে কাজ করছে ট্যারিফ কমিশন।

ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, কারসাজির মাধ্যমে কারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, তা উন্মোচন করতে ‘ব্লক চেইন’ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ট্যারিফ কমিশন সরকারের সঙ্গে আলাপের পর বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।

সেমিনারে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মিথ্যা ঘোষণা দিলে ২০০ থেকে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত যে জরিমানা করা হয়, তা কমানোর বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানানো হয়েছে। আগামী বাজেটে এর একটি প্রতিফলন পাওয়া যেতে পারে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সহসভাপতি রাইসা মাহবুব, পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, বিএসআরএমের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক আলী মাহবুব হোসেন, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশের পরিচালক লোকপ্রিয়া বড়ুয়া; পর্যটন, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ফ্রোজেন মিট ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এনায়েতুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক খান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সোলায়মান।