এলাকাভিত্তিক লকডাউন হলেও ব্যাংক খোলা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মহানগর বা জেলা প্রশাসন স্থানীয়ভাবে লকডাউন জারি করলেও ব্যাংকিং লেনদেন চলবে। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে সব তফসিলি ব্যাংকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মহানগর বা জেলা প্রশাসন কর্তৃক স্থানীয়ভাবে লকডাউন ঘোষিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। এ ক্ষেত্রে শাখার কর্মকর্তা ও কর্মীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানাতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা করা হলো।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ সময় জেলায় দোকানপাট বন্ধ থাকার পাশাপাশি আন্তজেলা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। তবে ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে এ নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এখন আমের মৌসুম। চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আম সরবরাহ করা হয়। এ জন্য এই সময়ে ওই এলাকায় টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। এ অবস্থায় ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনের আওতায় ব্যাংকিং কার্যক্রমের সময়সীমা কমিয়ে রাখা আছে। সকাল ১০ থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এখন লেনদেন হচ্ছে, যা বহাল থাকবে ৩০ মে পর্যন্ত।