কঠোরতম বিধিনিষেধে ব্যাংকে ভিড় নেই

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোরতম বিধিনিষেধের মধ্যে আজ খুলেছে দেশের ব্যাংকগুলো। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারেও লেনদেন চলছে। তবে রাজধানীর ব্যাংক শাখাগুলোয় তেমন ভিড় দেখা যাচ্ছে না। শাখাগুলোয় অল্প কিছু গ্রাহক এসে প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং লেনদেন সারছেন।

ঈদের ছুটি শেষে ব্যাংকগুলো আজ রোববার থেকে গ্রাহকের চাহিদামতো শাখা খোলা রাখতে শুরু করেছে। খোলা শাখায় লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। স্বাভাবিক সময়ে ব্যাংকগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা দেয়। খোলা থাকে সব শাখা।

গুলশান ও মতিঝিলের শাখাগুলোয় দেখা গেছে, গ্রাহক থাকলেও চাপ নেই। অল্প কিছু গ্রাহক নগদ টাকা ও অন্য সেবার জন্য এসেছেন। ব্যাংকাররা বলছেন, পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় ব্যাংকের ওপর চাপ কমে গেছে। সাধারণ গ্রাহকদের চাপ এমনিতেই কম। এ ছাড়া এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকেরা জরুরি না হলে বের হচ্ছেন না।
রাজধানীর সবচেয়ে বেশি গ্রাহকের ভিড়, এমন শাখাগুলোর একটি ইসলামী ব্যাংকের মতিঝিলের স্থানীয় শাখা। এই শাখার ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ব্যাংক খোলা, তবে গ্রাহকের এত চাপ নেই। অল্প কিছু গ্রাহক আসছেন। সেবা নিয়েই চলে যাচ্ছেন।

১৩ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত বিধিনিষেধ চলাকালে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই সময়ে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালন করে সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জরুরি বিভাগগুলোসহ নিজ বিবেচনায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে ব্যাংকগুলো। বিধিনিষেধ চলাকালে গ্রাহকদের হিসাবে নগদ/ চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট/ পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের আওতায় প্রদত্ত ভাতা/ অনুদান বিতরণ, একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধাসংবলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং উক্ত সুবিধাবহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকদের বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস/ ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেনের সুবিধা প্রদান এবং জরুরি বৈদেশিক লেনদেনসংক্রান্ত সেবা প্রদান করবে।

এই সময়ে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এটিএম বুথগুলোয় পর্যাপ্ত নোট সরবরাহ চালু রাখতে হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের অফিসে যাতায়াতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।