কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ড্যাশবোর্ডে ত্রুটি, বৈদেশিক লেনদেনে ধীরগতি

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনসংক্রান্ত ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন মনিটরিং ড্যাশবোর্ডে’ ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ড্যাশবোর্ডের হার্ডওয়্যারে সমস্যা হওয়ায় কার্যক্রম গতি হারিয়েছে। ফলে আমদানি-রপ্তানির জন্য যে আবেদন জমা দিতে হয়, তাতে অনেক সময় লাগছে। প্রকৌশলীরা হার্ডওয়্যার পরিবর্তনের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

জানা যায়, বেশ কয়েক দিন ধরে ড্যাশবোর্ডে সমস্যা চলছিল। তবে গত সপ্তাহের শেষের দিকে তা প্রায় অচল হয়ে পড়ে। ফলে ব্যাংকগুলো তথ্য জমা দিতে সমস্যায় পড়ে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ধীরগতি চলে আসে। কারণ, এই ড্যাশবোর্ডের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানি পণ্য ছাড় করে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকৌশলীরা ড্যাশবোর্ডের সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। তাঁরা আশা করছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।

দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের অনুমোদিত শাখায় (এডি শাখা) বৈদেশিক লেনদেন তদারকির জন্য চারটি অনলাইন রিপোর্টিং মডিউল এই ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়। এগুলো হলো আমদানি, রপ্তানি, অন্তর্মুখী প্রবাসী আয় ও বহির্মুখী প্রবাসী আয়।

অনলাইন তদারকি ব্যবস্থার ফলে রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্য, দেশ ও মুদ্রাভিত্তিক পরিমাণ, রপ্তানির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ও বকেয়া রপ্তানি বিল সম্পর্কে নির্দিষ্ট সময়েই রপ্তানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। একইভাবে পাওয়া যায় আমদানি ও প্রবাসী আয়ের তথ্যও।

অনলাইন রপ্তানি মনিটরিং সিস্টেম এডি শাখা, রপ্তানিকারক, পণ্য, দেশ ও মুদ্রাভিত্তিক রপ্তানির পরিমাণ, রপ্তানির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ এবং বকেয়া রপ্তানি বিল সম্পর্কে রেকর্ড তথ্য থাকায় নির্দিষ্ট সময়েই রপ্তানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সহায়তা করে। অনলাইন আমদানি মনিটরিং সিস্টেমে একদিকে আমদানিকারক, পণ্য, দেশ ও মুদ্রাভিত্তিক আমদানির পরিমাণ, বকেয়া আমদানি বিলের পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য পাওয়া যায়। অন্যদিকে ঋণপত্র গ্রহণ, অভ্যন্তরীণ বিল ক্রয় ও বিল পরিশোধ সম্পর্কেও তথ্য মিলে।