খেলাপি গ্রাহককে ঋণ ও তথ্য গোপনের দায়ে অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংককে জরিমানা

বাংলাদেশ ব্যাংক
ফাইল ছবি

রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংককে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা আর রুপালী ব্যাংককে এক লাখ টাকা। ঋণখেলাপি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ঋণপত্র সুবিধা দেওয়ায় অগ্রণী ব্যাংককে এবং খেলাপি গ্রাহকের তথ্য গোপনের দায়ে রূপালী ব্যাংককে এ জরিমানা করা হয়েছে।

জানা গেছে, ব্যাংক দুটি জরিমানা মওকুফের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে আবেদন করেছিল। পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক দুটির আবেদন বিবেচনায় নেয়নি। এর ফলে ব্যাংক দুটির হিসাব থেকে জরিমানার অর্থ কেটে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে জানতে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম ও রূপালী ব্যাংকের এমডি ওবায়েদ উল্লা আল মাসুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।

ব্যাংক দুটির নথিপত্রে দেখা গেছে, তানাকা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সুইস কোয়ালিটি পেপার গত বছরের জানুয়ারিতে ১৪ কোটি টাকা ও ডিসেম্বরে ১৩ কোটি টাকার ঋণপত্র খোলে অগ্রণী ব্যাংকে। ওই সময় গ্রুপটির ১০৩ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি ছিল।

পাশাপাশি সুইস কোয়ালিটি পেপারকে নতুন করে দেওয়া ঋণসুবিধার বিষয়টি এক বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) যুক্ত করেনি ব্যাংকটি। এ ছাড়া গ্রুপটির অন্য প্রতিষ্ঠান মারহাবা স্পিনিং লিমিটেডের ২৬৯ কোটি টাকার তথ্যও সিআইবিতে যুক্ত করা হয়নি। এ কারণে জরিমানা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর রূপালী ব্যাংককে জরিমানা করা হয়েছে ডলি কনস্ট্রাকশনের ঋণখেলাপির তথ্য গোপনের দায়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, জরিমানা কার্যকর হওয়ায় ব্যাংক দুটির ক্যামেলস রেটিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।