শেয়ারবাজার তহবিলে ব্যাংকের জমা টাকার তথ্য চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক

শেয়ারবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিলে (ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড) ব্যাংকগুলো  অবণ্টিত ও অদাবিকৃত লভ্যাংশ হিসেবে কত টাকা দিয়েছে তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩২ ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এ তথ্য পাঠাতে বলা হয়। গত ৩০ নভেম্বর ওই তহবিলে ব্যাংকগুলো কত টাকা জমা দিয়েছে তার তথ্যও দিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় মুদ্রা, বিদেশি মুদ্রা ও কত শেয়ার ব্যাংকগুলো তহবিলে জমা দিয়েছে, তার তথ্য আলাদা আলাদাভাবে দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশি শেয়ারের বাজারমূল্যও জমা দিতে বলা হয়। অবণ্টিত নগদ লভ্যাংশ বলতে এমন লভ্যাংশকে বোঝাবে, যা গ্রাহকের কাছে পাঠানো হলেও যেকোনো কারণে গ্রাহক তা গ্রহণ করেননি। আর অদাবিকৃত মুনাফা বলতে এমন লভ্যাংশকে বোঝাবে, যা শেয়ারধারীদের কাছে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু তা নগদায়নের জন্য ব্যাংকের কাছে উপস্থাপন করা হয়নি।

এই তহবিলে ব্যাংকগুলোর টাকা জমা নিয়ে শুরু থেকে আপত্তি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বলছে, তালিকাভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানকে এটা মানতে হবে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এ চিঠি দুই সংস্থার মধ্যে চলমান দূরত্ব আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

গত বছরের ১ জুলাই শেয়ারবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল গঠনের গেজেট হয়। শেয়ারবাজারের বিভিন্ন কোম্পানিতে দীর্ঘ দিন ধরে দাবিহীন ও অবণ্টিত অবস্থায় পড়ে থাকা লভ্যাংশ বিনিয়োগে আনতে এ তহবিল গঠন করা হয়। তহবিল গঠনের বিধিতে বলা হয়, এখন থেকে শেয়ারবাজারের কোনো কোম্পানির কাছে বিনিয়োগকারী বা গ্রাহকের অর্থ তিন বছরের বেশি সময় অদাবিকৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে তা নতুন এ তহবিলে স্থানান্তর করতে হবে। তহবিলের অর্থ শেয়ারবাজারের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। দাবিহীন ও অবণ্টিত অর্থের পরিমাণ ১৭ হাজার কোটি টাকা বলে জানান বিএসইসির কর্মকর্তারা।