৭৪টি গরিব দেশের জন্য বিশ্বব্যাংকের ৯৩০০ কোটি ডলারের তহবিল

করোনা সংকট মোকাবিলায় নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য ৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের বিশেষ সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) আওতায় এই তহবিল গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ৮৬ টাকা ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রায় তহবিলের আকার দাঁড়ায় প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা। যা বাংলাদেশের চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের চেয়েও প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। দেশের চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।  

বিশ্বব্যাংক বলছে, নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হলেও আইডিএর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ এই তহবিল থেকে অর্থসহায়তা পেতে পারে। ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই অর্থ পাবে নিম্ন আয়ের আইডিএর সদস্যভুক্ত দেশগুলো। মূলত দরিদ্র দেশগুলো যাতে করোনার ঝুঁকি মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে, সে জন্য এই তহবিল থেকে অর্থসহায়তা দেওয়া হবে। জাপানের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এক বৈঠক শেষে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি এ বৈঠকে অংশ নেন।

বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘোষিত এই তহবিল আইডিএর ৬১ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তহবিল। তহবিল গঠনের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বলেন, ‘আমাদের অংশীদারেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। বিশ্বজুড়ে দরিদ্র মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে এবং করোনা–পরবর্তী উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইডিএর ওপর অংশীদারেরা আস্থা রাখায় আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, আইডিএর এই তহবিল থেকে ৭৪টি গরিব দেশ সহায়তা পাবে। এ তহবিলে ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার জোগান দিচ্ছে বিশ্বের উচ্চ ও মধ্যম আয়ের ৪৮টি দেশ। ৭৪টি দেশ এ অর্থসহায়তা পেলেও তহবিলের প্রায় ৭০ শতাংশই অর্থই যাবে আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে। বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, এ তহবিল সহায়তাপ্রাপ্ত দেশগুলোকে মহামারি, আর্থিক ধাক্কা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, এই তহবিলের অর্থ দিয়ে বিশ্বের ৪০ কোটি দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। সাড়ে ৩৭ কোটি মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা দেওয়া হবে।