ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, অনেক শেয়ার ব্যবসায়ী নাকি এখন ডলার ব্যবসায় জড়িত হয়েছেন। ডলার কারসাজিতে যাঁরাই জড়িত থাকুক না কেন, তাঁদের শক্ত হাতে ধরা দরকার। দেশে ব্যাংকগুলোকে ব্যবসা করার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ১ ডলারে ১০ টাকা মুনাফা করার লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯৪ টাকায় ডলার দেবে, আর অন্যান্য ব্যাংক তা ১০৫-১১০ টাকায় বিক্রি করবে, আমরা তা চাই না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এসব মন্তব্য করেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি, এখন নাকি অনেক শেয়ার ব্যবসায়ী ডলারের ব্যবসা শুরু করেছেন। সরকারের উচিত হবে, এসব ব্যবসায়ীকে শক্ত হাতে দমন করা। আমি গভর্নরকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জন্য অনেক দিন ধরে বলে আসছিলাম। আগে শিল্পঋণ ছিল, কিন্তু এখন কিন্তু ও রকম ঋণ নেই। আমরা ব্যাংকগুলোকে ঋণের নির্দিষ্ট অংশ দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।’
এফবিসিসিআইয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, এফবিসিসিআই দাবি করছে, গ্রুপের কোনো একটি প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি হলে সেটা আলাদা করা যায় কি না। কিন্তু গভর্নর এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। ডলারের দাম বাড়িয়ে যেসব মানি চেঞ্জার ও ব্যাংক মুনাফা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।