এমডির পদত্যাগের সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে এনআরবি ব্যাংক

গতকাল প্রথম আলোর অর্থ-বাণিজ্য পাতায় ‘বেনামি ঋণের চাপে এনআরবি ব্যাংক এমডির পদত্যাগ’ শিরোনামের সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে এনআরবি ব্যাংক।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সাকির আমিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রতিবাদপত্রের বক্তব্য, প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ব্যাংকের কয়েকজন পরিচালকের চাপে বেনামি ঋণ অনুমোদনের জের ধরেই এমডি পদ ছেড়েছেন, যা সম্পূর্ণ অসত্য ও ভিত্তিহীন।

সাবেক এমডি মামুন মাহমুদ শাহ গত ২১ জানুয়ারি ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন এবং একই পত্রে তাঁর মেয়াদান্ত পর্যন্ত (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) ১২ দিন অসুস্থতাজনিত ছুটির আবেদন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে এনআরবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২১ জানুয়ারি মামুন মাহমুদ শাহর অসুস্থতাজনিত ছুটি মেয়াদান্ত পর্যন্ত মঞ্জুর করে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে।

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, এনআরবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ঋণ অনুমোদনে কখনোই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করে না এবং সব সময় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারিকৃত নীতিমালা অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে বিগত তিন বছরে ব্যাংকটির বিভিন্ন আর্থিক সূচকে অগ্রগতি হয়েছে, যে বিষয় আপনাদের প্রতিবেদনেই স্বীকার করা হয়েছে।

প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহকের ব্যবসায়িক সম্ভাব্যতা বিচার–বিশ্লেষণ করে ব্যাংকের ঋণনীতি পরিপালন করে অ্যালায়েন্স হসপিটাল লিমিটেড, বারুন ক্রপ কেয়ার লিমিটেড ও বেলা অ্যাগ্রো পার্কের অনুকূলে ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে।

বিতরণকৃত ঋণসমূহ নিয়মিত আছে। অনুমোদিত ঋণসমূহের বিপরীতে প্রাথমিক জামানতের পাশাপাশি সহায়ক জামানত গ্রহণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া পরিচালনা পর্ষদ থেকে কোনো পরিচালককে কৌশলে সরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই এবং পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকদের মধ্যে পক্ষ-বিপক্ষ গ্রুপও তৈরি হয়নি। এ ছাড়া প্রতিবেদনে কোনো কোনো পরিচালক ব্যাংকে পূর্ণ সময় অফিস করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: এমডির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদত্যাগ করায় সংবাদটি পরিবেশন করা হয়। এমডি প্রথম আলোকে দেওয়া বক্তব্যে ব্যাংকটিতে কাজের পরিবেশ না থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া এসব ঋণের নথিপত্র পর্যালোচনা করে মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে পদত্যাগ করা এমডির বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। অন্য সব বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।