বাংলা কিউআরের খরচ যাবে সিএসআর খাত থেকে

বাংলাদেশ ব্যাংকছবি: সংগৃহীত

ক্যাশলেস বাংলাদেশ তথা নগদবিহীন লেনদেনের দেশ গড়ার অংশ হিসেবে বাংলা কিউআর কোডের প্রচলন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে কোডভিত্তিক লেনদেন করা যাচ্ছে। এ জন্য প্রচার–প্রচারণার পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও খরচ হচ্ছে। ব্যাংকগুলো তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা খাতের (সিএসআর) তহবিল থেকে এই খরচ দেখাতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশনা দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তা, মাইক্রো মার্চেন্ট ও স্বল্প আয়ের জনগণকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় এনে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীর লেনদেন প্রযুক্তিনির্ভর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের সব লেনদেনের ৫ শতাংশ অনলাইন বা ক্যাশলেস তথা নগদবিহীন করার লক্ষ্যে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৭’ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাংলা কিউআরের মাধ্যমে জনসাধারণকে বিনা মূল্যে পরিশোধসেবা প্রদানের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের এ–সংক্রান্ত ব্যয় সিএসআর খাতে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগে যোগদান করা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোই কেবল এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে।

ব্যাংকগুলো কোন ব্যয়কে সিএসআর হিসেবে দেখাতে পারবে, তার তালিকাও তৈরি করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলা কিউআরের মাধ্যমে সম্পাদিত সব লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত হারে মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট ও ইন্টার ব্যাংক রিইমবার্সমেন্ট মাশুলসংক্রান্ত খরচ সিএসআর হিসাবে দেখানো যাবে। ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগের আওতায় ক্যাম্পেইন–সংক্রান্ত যাবতীয় প্রচারণা, কোরবানির হাটের যাবতীয় লেনদেন ও অবকাঠামোসংশ্লিষ্ট ব্যয়সমূহ এবং বাংলা কিউআরের প্রচার ও প্রসারে গৃহীত প্রচারণাসংক্রান্ত ব্যয়সমূহও থাকবে।

অবশ্য ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাতা, থাকা–খাওয়া, হোটেল বিল ও যাতায়াত ভাতা হিসেবে গণ্য ব্যয়সমূহ সিএসআর ব্যয় হিসেবে প্রদর্শন করা যাবে না।