তিন মাসে ইস্টার্ণ ব্যাংকের মুনাফা ১৪৫ কোটি টাকা

বেসরকারি ইস্টার্ণ ব্যাংকের ঋণের সুদ আয় তিন মাসে ২৩৫ কোটি টাকা বা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ব্যাংকটি চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি–মার্চে) ঋণের সুদ বাবদ আয় করেছে ৮২৪ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৮৯ কোটি টাকা।

ঋণের সুদ আয়ের পাশাপাশি ব্যাংকটির বিনিয়োগ ও বিভিন্ন সেবা মাশুল থেকে আয়ও বেড়েছে। এসব কারণে বেড়েছে বছরের প্রথম প্রান্তিকের মুনাফাও। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সব ধরনের খরচের পর ব্যাংকটি ১৪৫ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে মুনাফার পরিমাণ ছিল ১০৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ইস্টার্ণ ব্যাংকের মুনাফা ৩৮ কোটি টাকা বা সাড়ে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।

ইস্টার্ণ ব্যাংক গতকাল বুধবার চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন থেকে ব্যাংকটির আয় ও মুনাফা বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া গেছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে আর্থিক প্রতিবেদনের এ তথ্য প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদেরও জানিয়েছে ব্যাংকটি।

আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ঋণের সুদ বাবদ ৮২৪ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যাংকটির আমানতের সুদ বাবদ ব্যয় করেছে ৫৮৯ কোটি টাকা। তাতে গত মার্চ শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা দাঁড়ায় ২৩৫ কোটি টাকায়। গত বছরের একই সময়ে ঋণের সুদ বাবদ ৫৮৯ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে আমানতের সুদ পরিশোধে ব্যাংকটি ব্যয় করেছিল ৪১৭ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চ শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ১৭১ কোটি টাকা।

এ ছাড়া ইস্টার্ণ ব্যাংক গত জানুয়ারি–মার্চ মেয়াদকালে সরকারি ট্রেজারি বিলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিপরীতে ২২০ কোটি টাকা আয় করেছে। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৮৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বিনিয়োগ থেকে ব্যাংকটির আয় এক বছরের ব্যবধানে ৩৭ কোটি টাকা বা ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

ঋণের সুদ ও বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের বিপরীতে আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাংকটির ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশনিংও বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সব ধরনের প্রভিশনিং মিলিয়ে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ব্যাংকটিকে ৯০ কোটি টাকার বেশি সংরক্ষণ করতে হয়েছে। গত বছরের প্রথম তিন মাসে যার পরিমাণ ছিল ৪৪ কোটি টাকা। প্রায় শতকোটি টাকা প্রভিশনিং সংরক্ষণের পরও ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে। তাতে মার্চ শেষে এটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৮৯ পয়সা।

এদিকে মুনাফা বাড়লেও গতকাল বুধবার শেয়ারবাজারে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম কমেছে।