ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের বেশি খরচ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে

দেশ-বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের নাগরিকেরা ভারতের পর ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন যুক্তরাষ্ট্রে। এ দুই দেশে বাংলাদেশিরা মাসে খরচ করেন গড়ে দেড় শ কোটি টাকা। এই দুই দেশের পর বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের বেশি ব্যবহার করেন থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরে। আর দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করা হয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খুচরা দোকান ও ফার্মেসিতে।

বাংলাদেশে ইস্যু করা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেশে ও দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের ভেতরে যেসব বিদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা হয়, তার তথ্যও তুলে আনা হয়েছে গবেষণায়।

ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী দেশের ৪৩টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিপুল তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগ এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করে।

গত সপ্তাহে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। কী ধরনের সেবার জন্য দেশ-বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই তথ্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি কোন ধরনের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডে আগস্টে এ দেশের কার্ডধারীরা দেশের মধ্যে খরচ করেছেন ২ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা আর বিদেশে ৪১৮ কোটি টাকা; অর্থাৎ এ দেশের নাগরিকেরা দেশ-বিদেশ মিলিয়ে আগস্টে ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছেন ২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে বিদেশি নাগরিকেরা এ দেশে খরচ করেছেন ২১৮ কোটি টাকা।

কোন দেশে কত খরচ

গত আগস্ট মাসে দেশের বাইরে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছেন ভারতে, যার পরিমাণ প্রায় ৭৪ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে, ৬৮ কোটি টাকার বেশি। তালিকায় পরের দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এর বাইরে বিশ্বের আরও কিছু দেশে সব মিলিয়ে খরচ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।

বিদেশে আগস্টে প্রায় ৪১৮ কোটি টাকা খরচ করা হলেও জুলাই মাসে খরচ ছিল বেশি। এ মাসে বিভিন্ন দেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা খরচ করেছেন ৫১২ কোটি টাকা। এই অর্থের প্রায় ৩৪ শতাংশ খরচ করা হয়েছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে। জুলাইয়ে এ দুই দেশে খরচ হয়েছিল মোট ব৵য়ের প্রায় ৩১ শতাংশ। জুলাইয়ে ক্রেডিট কার্ডে খরচের দিক থেকে এর পরের দেশ সৌদি আরব। দেশটিতে ওই মাসে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে সাড়ে ৫৮ কোটি টাকা খরচ করেছিলেন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকগুলো বলছে, জুলাইয়ে হজ পালন করতে কয়েক লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন, তাঁদের একটি বড় অংশ ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করেছিলেন। তবে আগস্টে সেই লেনদেন কমে ১২ কোটি টাকায় নেমে আসে।

দেশ-বিদেশে কোথায় কত খরচ

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে দেশের ভেতর ক্রেডিট কার্ডে সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। জুলাইয়ে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে দেশের ভেতর এক মাসে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

আগস্টে দেশের ভেতরের লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই (৫০ শতাংশ) হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের খুচরা দোকান বা রিটেইল আউটলেটে, যা ক্রেডিট কার্ডে ওই মাসের মোট লেনদেনের প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ। এর বাইরে ছিল পরিষেবা বিল, নগদ উত্তোলন, ফার্মেসি, পোশাকের দোকান, অর্থ স্থানান্তর ও পরিবহন খাতে খরচ।

আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে খরচ করেছেন ৪১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে খরচ করেছেন প্রায় ১১২ কোটি টাকা, বিভিন্ন রিটেইল আউটলেটে সাড়ে ৬৬ কোটি টাকা ফার্মেসিতে খরচ করেছেন ৫৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া পরিবহন বাবদ ৩৬ কোটি, পোশাকের দোকানে প্রায় ৩৫ কোটি ও বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণে ৩৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

বেসরকারি খাতের দেশীয় মালিকানাধীন দি সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বজুড়ে ক্রেডিট কার্ডের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় পেট্রলপাম্পে তেল কেনাকাটায়। এরপর নিত্যপণ্যের দোকানে। কিন্তু বাংলাদেশ তেল বেচাকেনায় ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নেই বললেই চলে। তাই এ দেশে ক্রেডিট কার্ডের বেশি ব্যবহার হয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে।

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের বেশি ব্যবহার প্রসঙ্গে মাসরুর আরেফিন বলেন, চিকিৎসা ও পর্যটনের জন্য প্রতি মাসে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে যান। তাই সেখানে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি হয়। আর বর্তমানে এ দেশের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন। আবার কয়েক প্রজন্মের হাত ধরে সেখানে বাড়ছে বাংলাদেশিদের সংখ্যাও। এ জন্য ওই দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।

দেশ-বিদেশে কোন কার্ডে কত খরচ

আগস্টে দেশের ভেতরে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে যত অর্থ খরচ করেছেন, তার প্রায় ৭৩ শতাংশ বা তিন-চতুর্থাংশই খরচ হয়েছে ভিসা কার্ডে। ক্রেডিট কার্ড সেবাদাতা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ভিসার কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করা হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে মাস্টার কার্ডে, যার পরিমাণ ৪১৬ কোটি টাকা। আর অ্যামেক্স কার্ডে লেনদেন হয়েছে ২৪৪ কোটি টাকা। ডাইনার্স কার্ডে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি টাকা। দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই ভিসা ও মাস্টার কার্ড ইস্যু করে। অ্যামেক্স কার্ড ইস্যু করে একমাত্র দি সিটি ব্যাংক। আর ডাইনার্স কার্ড ইস্যু করে ইস্টার্ণ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে যত লেনদেন করেছেন, তার বেশির ভাগই করেছেন ভিসা কার্ডে। এ কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে লেনদেন হয়েছে ৩২৪ কোটি টাকা, যা বিদেশে খরচ হওয়া অর্থের ৭৭ শতাংশের বেশি। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে মাস্টার কার্ডে, যার পরিমাণ সাড়ে ৬০ কোটি টাকা। অ্যামেক্স কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা; অর্থাৎ বিদেশে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে যত লেনদেন করেছেন, তার ৯৯ শতাংশই করেছেন ভিসা, মাস্টার ও অ্যামেক্স কার্ডে।

দেশে কত খরচ করেন বিদেশিরা

চাকরি বা ব্যবসার কাজে অনেক বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে আসেন। অনেকে পর্যটক হিসেবেও আসেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনার, সাংস্কৃতিক আয়োজনেও এ দেশে বিদেশিদের যাতায়াত থাকে বছরজুড়ে। এসব বিদেশির অনেকে ভ্রমণ, কেনাকাটাসহ নানা প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বলছে, এ দেশে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা। এরপর রয়েছেন ভারত, সিঙ্গাপুর, কানাডা, কলম্বিয়া, জাপান, হংকং, হন্ডুরাস, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। সব মিলিয়ে তাঁরা গত আগস্টে ২১৮ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

বিদেশিদের খরচের বড় অংশই হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, যার পরিমাণ প্রায় ৮৭ কোটি টাকা। এরপর ছিল নগদ অর্থ উত্তোলন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আগস্টে তাঁরা প্রায় ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। বিদেশিরা তৃতীয় সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেছেন পরিবহন খাতে, পরিমাণ প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।

ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের তথ্য বলছে, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কিছুটা কমছে। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে রয়েছি। এমন এক সময়ে কার্ডের ব্যবহার আরও বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।’

দেশ-বিদেশে কোথায় কত খরচ

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে দেশের ভেতর ক্রেডিট কার্ডে সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। জুলাইয়ে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে দেশের ভেতর এক মাসে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ৪ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আগস্টে দেশের ভেতরের লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই (৫০ শতাংশ) হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের খুচরা দোকান বা রিটেইল আউটলেটে, যা ক্রেডিট কার্ডে ওই মাসের মোট লেনদেনের প্রায় সাড়ে ১২ শতাংশ। এর বাইরে ছিল পরিষেবা বিল, নগদ উত্তোলন, ফার্মেসি, পোশাকের দোকান, অর্থ স্থানান্তর ও পরিবহন খাতে খরচ।

আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে খরচ করেছেন ৪১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে খরচ করেছেন প্রায় ১১২ কোটি টাকা, বিভিন্ন রিটেইল আউটলেটে সাড়ে ৬৬ কোটি টাকা ফার্মেসিতে খরচ করেছেন ৫৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া পরিবহন বাবদ ৩৬ কোটি, পোশাকের দোকানে প্রায় ৩৫ কোটি ও বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণে ৩৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

বেসরকারি খাতের দেশীয় মালিকানাধীন দি সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বজুড়ে ক্রেডিট কার্ডের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় পেট্রলপাম্পে তেল কেনাকাটায়। এরপর নিত্যপণ্যের দোকানে। কিন্তু বাংলাদেশ তেল বেচাকেনায় ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নেই বললেই চলে। তাই এ দেশে ক্রেডিট কার্ডের বেশি ব্যবহার হয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে।

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের বেশি ব্যবহার প্রসঙ্গে মাসরুর আরেফিন বলেন, চিকিৎসা ও পর্যটনের জন্য প্রতি মাসে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে যান। তাই সেখানে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেশি হয়। আর বর্তমানে এ দেশের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন। আবার কয়েক প্রজন্মের হাত ধরে সেখানে বাড়ছে বাংলাদেশিদের সংখ্যাও। এ জন্য ওই দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।

দেশ-বিদেশে কোন কার্ডে কত খরচ

আগস্টে দেশের ভেতরে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে যত অর্থ খরচ করেছেন, তার প্রায় ৭৩ শতাংশ বা তিন-চতুর্থাংশই খরচ হয়েছে ভিসা কার্ডে। ক্রেডিট কার্ড সেবাদাতা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান ভিসার কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করা হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে মাস্টার কার্ডে, যার পরিমাণ ৪১৬ কোটি টাকা। আর অ্যামেক্স কার্ডে লেনদেন হয়েছে ২৪৪ কোটি টাকা। ডাইনার্স কার্ডে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি টাকা। দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই ভিসা ও মাস্টার কার্ড ইস্যু করে। অ্যামেক্স কার্ড ইস্যু করে একমাত্র দি সিটি ব্যাংক। আর ডাইনার্স কার্ড ইস্যু করে ইস্টার্ণ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে যত লেনদেন করেছেন, তার বেশির ভাগই করেছেন ভিসা কার্ডে। এ কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে লেনদেন হয়েছে ৩২৪ কোটি টাকা, যা বিদেশে খরচ হওয়া অর্থের ৭৭ শতাংশের বেশি। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে মাস্টার কার্ডে, যার পরিমাণ সাড়ে ৬০ কোটি টাকা। অ্যামেক্স কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা; অর্থাৎ বিদেশে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে যত লেনদেন করেছেন, তার ৯৯ শতাংশই করেছেন ভিসা, মাস্টার ও অ্যামেক্স কার্ডে।

দেশে কত খরচ করেন বিদেশিরা

চাকরি বা ব্যবসার কাজে অনেক বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে আসেন। অনেকে পর্যটক হিসেবেও আসেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনার, সাংস্কৃতিক আয়োজনেও এ দেশে বিদেশিদের যাতায়াত থাকে বছরজুড়ে। এসব বিদেশির অনেকে ভ্রমণ, কেনাকাটাসহ নানা প্রয়োজনে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বলছে, এ দেশে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা। এরপর রয়েছেন ভারত, সিঙ্গাপুর, কানাডা, কলম্বিয়া, জাপান, হংকং, হন্ডুরাস, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা। সব মিলিয়ে তাঁরা গত আগস্টে ২১৮ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

বিদেশিদের খরচের বড় অংশই হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে, যার পরিমাণ প্রায় ৮৭ কোটি টাকা। এরপর ছিল নগদ অর্থ উত্তোলন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আগস্টে তাঁরা প্রায় ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। বিদেশিরা তৃতীয় সর্বোচ্চ অর্থ খরচ করেছেন পরিবহন খাতে, পরিমাণ প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।

ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের তথ্য বলছে, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কিছুটা কমছে। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে রয়েছি। এমন এক সময়ে কার্ডের ব্যবহার আরও বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।’