নয়াপল্টন এলাকার ব্যাংক গ্রাহকশূন্য

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফাঁকা এই সড়কে পুলিশ সদস্যদের আনোগোনা বেশি।ছবি: শফিকুল ইসলাম

রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলো আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছিল প্রায় গ্রাহকশূন্য। গতকাল বুধবার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর আতঙ্কে আজ জরুরি প্রয়োজন না হলে কোনো গ্রাহক ওই এলাকার ব্যাংকে যাননি। নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় সকাল থেকে গ্রাহক উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। তাই এদিন লেনদেন হয়েছে খুবই কম।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত রাস্তা পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সড়কের ভেতরে কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। ওই সড়কে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০-১২টি শাখা রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির বিক্রয়কেন্দ্র, পোশাকের পাইকারি বাজার, প্রবাসী শ্রমিক পাঠানোর কোম্পানি, রেস্তোরাঁসহ বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। সকাল থেকে সড়কটি বন্ধ থাকায় এ এলাকায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। অনাহূত পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকগুলো শাটার নামিয়ে ভেতরে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

আরও পড়ুন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারি একটি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) জানান, আজ ব্যাংকের লেনদেন একদমই কম। হাতে গোনা কয়েক গ্রাহক এসেছেন। আতঙ্ক থেকেই কম গ্রাহক এসেছেন বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।

নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন শাখায় কর্মরত একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, মূল সড়ক ও গলি রাস্তা বন্ধ থাকায় সকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই সময়মতো ব্যাংকে আসতে পারেননি। তাঁরা নিজেরাও আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

আরও পড়ুন

দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা ব্যাংকের কাকরাইল শাখায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাত্র দুজন গ্রাহক সেবা নিতে এসেছেন। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র পাঁচ-ছয়জন গ্রাহক ওই ব্যাংকে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা।

ঢাকা ব্যাংকে আসা গ্রাহক প্রকাশ পাল একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘চীনের সাংহাই বন্দরে আমাদের পণ্য আছে। এখান থেকে এনওসি পাঠাতে না পারলে দু-তিন দিনের জন্য পণ্য বন্দরে আটকে থাকবে। এ জন্য ঝুঁকি আছে জেনেও নথিপত্র সংগ্রহ করতে আজকে ব্যাংকে এসেছি। আসার সময় পথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পথ আটকেছিলেন। পরে ব্যাংকে জরুরি কাজ আছে বলার পর আসতে দিয়েছেন।’

দুপুরে নয়াপল্টনে আল-আরাফাহ্‌ ব্যাংকের ভিআইপি রোড শাখা থেকে টাকা তুলতে আসেন ব্যাংকটির গ্রাহক সালেহ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি পোশাকের ব্যবসা করি। তাই নিয়মিতই এ শাখায় আসতে হয়। অন্যান্য দিন লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংকের কাজ করতে হতো। আজ মাত্র দু-তিনজন গ্রাহক ছিলেন ব্যাংকে।’

আরও পড়ুন