ডিজিটালে বিনিয়োগের সুযোগ আছে

আলী রেজা ইফতেখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইস্টার্ণ ব্যাংক

দেশে ডিজিটাল লেনদেনে অনেক সেবা চালু হয়েছে। ই-কমার্স, কন্ট্যাক্টলেস কার্ড, ডিজিটাল ওয়ালেট, ভার্চ্যুয়াল কার্ড, ব্যাংকিং অ্যাপস—সবকিছুই ডিজিটাল লেনদেনের জন্য তৈরি হয়েছে। ব্যাংকিং–সম্পর্কিত সব রকম সেবা এখন সবার হাতের মুঠোয়। মানুষজন যদিও দিন দিন ক্যাশলেস লেনদেনের জন্য আগ্রহী হচ্ছে, এগুলোর ব্যবহার এখনো মূলত শহরগুলোয় বেশি। গ্রামাঞ্চলে এসব সেবার প্রসারের জন্য এখনো অনেক কাজ করতে হবে।

কার্ড থেকে অ্যাপস—ডিজিটাল সেবার দ্রুত পরিবর্তনও হচ্ছে। দেশে গ্রাহকেরা এখন পর্যন্ত কার্ডের ব্যবহার অপেক্ষাকৃত বেশি করেন। কিন্তু একই সঙ্গে অ্যাপসের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। কারণ, এই দুটি মাধ্যমই একে অপরের সম্পূরক। যত সময় যাবে, এই দুই মাধ্যমের ব্যবহার বাড়তে থাকবে।

আমাদের গ্রাহকসংখ্যা প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। গত এক বছরে আমাদের ক্রেডিট কার্ড সেবায় গ্রাহকের অন্তর্ভুক্তি প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।

ক্রেডিট কার্ড মানুষের জীবনমানে বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য, আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক এবং ডিসকাউন্ট সুবিধা নেওয়ার জন্য ক্রেডিট কার্ডের কোনো বিকল্প হয় না। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মানুষ এখন ইএমআই সুবিধা নিয়ে আসবাব, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ অনেক কিছু কিনতে পারছেন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ফলে অনেক কিছুই সবার সাধ্যের মধ্যে চলে এসেছে। এ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের সময় ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকেরা খুব সহজেই ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারছেন।

ডিজিটাল সেবার বিকাশে সরকার অনেক কাজ করছে। কিন্তু জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতিমালা প্রণয়ন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ আরও অনেক কাজ করতে হবে। উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রতারণাও অনেক বেড়েছে। কার্ডের গোপন তথ্য অনেক সময় প্রতারক চক্র ফোন করে গ্রাহকের কাছ থেকে নিয়ে নেয়। এর ফলে গ্রাহকের অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।

ডিজিটাল সেবার বিকাশে বিনিয়োগের এখনো অনেক সুযোগ রয়েছে। আমি মনে করি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিকট ভবিষ্যতে ডিজিটাল সেবায় বিনিয়োগের মাত্রা আরও বাড়ানো সম্ভব।