ছয় মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত রাখার আদেশ প্রত্যাহার

মানি চেঞ্জার
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করায় সাত মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ছয়টির ওপর থেকে আজ বুধবার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কারণ, এসব মানি চেঞ্জার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম মেনে ডলার কেনাবেচা করার হলফনামা জমা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যে ছয় প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত রাখার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে সেগুলো হলো, ইয়র্ক মানি এক্সচেঞ্জ, জামান মানি চেঞ্জিং হাউস, জেনি মানি এক্সচেঞ্জ, স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ, জেবি মানি এক্সচেঞ্জ ও বেঙ্গল মানি এক্সচেঞ্জ। মার্সি মানি এক্সচেঞ্জ নামের আরেক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এ জন্য সেটির ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রয়েছে।

জানা গেছে, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হওয়া মানি চেঞ্জারগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম মেনে এক কাউন্টারের মধ্যে ডলার কেনাবেচার প্রতিশ্রুতি প্রদানের পাশাপাশি নির্ধারিত দামে ব্যবসা করারও আশ্বাস দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকের চেয়ে সর্বোচ্চ এক টাকা বেশি দামে নগদ ডলার বিক্রি করতে পারবে মানি চেঞ্জারগুলো। তাতে ডলারের দাম হয় ১১২ থেকে ১১৩ টাকা। তবে এখন খোলা বাজারে ডলার ১১৯ থেকে ১২০ টাকায় ডলার কেনাবেচা হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাংকেও নগদ ডলার মিলছে না।

এদিকে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করায় আরও ১০ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সবাই ব্যাখ্যা না দেওয়ায় এখনো এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

যে ১০ মানি চেঞ্জারের ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে, সেগুলো হলো, নিউ প্রাইম মানি চেঞ্জার, উত্তরা মানি চেঞ্জার, মিসা মানি এক্সচেঞ্জ, যমুনা মানি এক্সচেঞ্জ, পাইওনিয়ার মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, স্কাফ মানি চেঞ্জার, হজরত খাজা বাবা মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ ও মাতৃক মানি চেঞ্জার।

আরও পড়ুন