সোনালী লাইফের সিইওর দায়িত্ব পালনে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ আইডিআরএর

সোনালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এমনকি একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও করছেন। এ অবস্থায় কোম্পানিটির সিইও মীর রাশেদ বিন আমানকে তাঁর দায়িত্ব পালনে বাধা না দিতে পরিচালনা পর্ষদকে আজ বুধবার নির্দেশ দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

আইডিআরএ বলছে, সিইওকে দায়িত্ব পালন করতে না দেওয়াটা আইনসম্মত নয় এবং তা করপোরেট সুশাসন নির্দেশিকারও পরিপন্থী। তাই মীর রাশেদ বিন আমানকে সিইওর দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে তাঁর দপ্তরে প্রবেশ, প্রয়োজনীয় সফটওয়ারে প্রবেশাধিকার দেওয়া এবং তাঁর দায়িত্ব পালনে কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। আইডিআরএর অনুমোদন ছাড়া বিমা দাবি নিষ্পত্তি ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।

তবে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের অভিযোগ, সিইও মীর রাশেদ বিন আমান অফিসে আসছেন না। আর সিইওর অভিযোগ, তাঁকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় সিইও দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেয় আইডিআরএ।

এদিকে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস এবং সোনালী লাইফের পরিচালনা পর্ষদের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এক মাসের সময় দিয়ে কোম্পানির সার্বিক বিষয় নিরীক্ষা করতে কাজ করছে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হুদা ভাসী চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি। আইডিআরএ বলেছে, সিইওর কাজ বাধাগ্রস্ত করায় নিরীক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার আইডিআরএর কাছে দেওয়া এক অভিযোগে মীর রাশেদ বিন আমান জানান, পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে তাঁকে অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর কক্ষও তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোম্পানির সফটওয়্যারে তাঁর প্রবেশাধিকার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে কোম্পানির চেয়ারম্যানও আইডিআরএকে জানান, সিইও অফিসে অনুপস্থিত রয়েছেন।

জানতে চাইলে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস গতকাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইডিআরএ অনেক কিছু জানে না। জানানোর জন্য আমি সংস্থাটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করব। আর আমি চেয়ারম্যান। অথচ আমাকে না জানিয়ে সিইও ভারত চলে যান।’

তবে মীর রাশেদ বিন আমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোম্পানির আরও চারজনসহ আমি তিন দিনের জন্য ভারত গিয়েছিলাম একটা পদক আনতে। তা–ও গত ২১ নভেম্বর।’ মীর রাশেদ আরও বলেন, ‘নিরীক্ষা পেছানোর আবেদনে বলা হয়েছে আমি ছুটিতে। এটা অসত্য। আমাকে কোম্পানিতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’