এ ছাড়া প্রয়োজনীয় কর্মী ও শাখা কর্মচারী ব্যতীত অন্য কর্মীদের দূরবর্তীভাবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে ই–মেইলে। ‘কর্মচারী ধরে রাখা’ শিরোনামে ওই ই–মেইল বার্তাটি গত শুক্রবার এসভিবি কর্মীদের কাছে পাঠিয়েছিল এফডিআইসি। তবে ই–মেইলের বিষয়ে জানতে চাইলে রয়টার্সের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি সংস্থাটি।
স্টার্টআপের জন্য ঋণ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) গত বুধবার এক ঘোষণা দেয়, ব্যালান্স শিট বা স্থিতিপত্র শক্তিশালী করতে তারা ২২৫ কোটি ডলার সমমূল্যের শেয়ার বিক্রি করবে। কিন্তু এ ঘোষণাই ব্যাংকটির জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।
কারণ, এ ঘোষণার পর ব্যাংকের গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। পরদিন ব্যাংকটির শেয়ারের দর ৬০ শতাংশ কমে যায়। গত বৃহস্পতিবার আমানতকারীরা তুলে নেন ৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।
বিনিয়োগকারীরা ভাবেন, এ ঘোষণায় ব্যাংকটি থেকে অর্থ তুলে নেওয়ার প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে। একপর্যায়ে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি) সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক বন্ধ করে নিজেরা দায়িত্ব নেয়।
গত বছরের শেষ নাগাদ ২০ হাজার ৯০০ কোটি (২০৯ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার সম্পদ ও ১৭ হাজার ৫৪০ কোটি (১৭৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন) আমানত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম বৃহত্তম ব্যাংক ছিল সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে ৮ হাজার ৫২৮ জন কর্মী কাজ করতেন।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের গভর্নর গ্যাভিন নিউজম এক বিবৃতিতে বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সবাই এফডিআইসির সঙ্গে মিলে কাজ করছে।
এফডিআইসি গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারায় অবস্থিত সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ ক্যালিফোর্নিয়া ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে থাকা ব্যাংকের ১৭টি শাখা আগামীকাল সোমবার থেকে পুনরায় চালু হবে।
আর ধসে যাওয়া ব্যাংকটির মূল কোম্পানি এসভিবি গ্রুপ। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এসভিবি সিকিউরিটিজ বলছে, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ব্যর্থতার ঘটনায় শেয়ারবাজারে তাদের ব্যবসায় সরাসরি কোনো প্রভাব পড়বে না।