৫ ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত, কমতে পারে কর্মকর্তাদের সুযোগ–সুবিধা
পাঁচটি ইসলামি ব্যাংককে একীভূত করে একটি ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংককে অধিগ্রহণ করবে নবগঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। সম্প্রতি এই একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে কর্মকর্তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত কী হবে, তা স্পষ্ট করা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের স্থানান্তর ও শর্তাবলি
নীতিমালার তথ্য অনুযায়ী, হস্তান্তরকারী (পুরোনো পাঁচটি) ব্যাংকে কর্মরত যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা বিভাগীয় অভিযোগ নেই, তাঁরা নির্ধারিত দিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের কর্মী হিসেবে গণ্য হবেন। তবে তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রে কিছু কঠোর শর্তারোপ করা হয়েছে—
শর্ত পরিবর্তনের ক্ষমতা: বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে নতুন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্মকর্তাদের চাকরির বিদ্যমান শর্তাবলি পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।
আপত্তি করার সুযোগ নেই: যদি শর্ত পরিবর্তনের ফলে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত সুযোগ–সুবিধা বা বেতন–ভাতা আগের তুলনায় কমে যায়, তাহলে ওই কর্মী এ নিয়ে আইনি বা প্রাতিষ্ঠানিক আপত্তি তুলতে পারবেন না।
চাকরি ত্যাগের সুযোগ: হস্তান্তরকারী ব্যাংকের কোনো কর্মী যদি নতুন ব্যাংকে চাকরি করতে অনিচ্ছুক হন, তাহলে তাঁকে লিখিতভাবে তা জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি নতুন ব্যাংকের কর্মচারী হিসেবে গণ্য হবেন না।
অব্যাহতি ও বরখাস্ত–সংক্রান্ত নিয়ম
নীতিমালায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যদি ব্যাংকের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করে কিংবা কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বা চাকরিবিধি পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পায়, তাহলে তাঁকে যেকোনো সময় কারণ দর্শানো ছাড়াই বরখাস্ত করতে পারবে।
শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে এবং আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।