মেট্রোরেল চালু উপলক্ষে আসছে ৫০ টাকার স্মারক নোট

বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক নোট মুদ্রণ করেছে।
ছবি: বাংলাদেশ ব্যাংকের সৌজন্যে

বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক নোট মুদ্রণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল বুধবার বেলা ১১টায় মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্মারক নোটটি আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করবেন। এর পরদিন থেকে স্মারক নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও পরবর্তী সময়ে অন্যান্য শাখা অফিসে পাওয়া যাবে।

৫০ টাকা মূল্যের স্মারক নোটটির জন্য পৃথকভাবে বাংলা ও ইংরেজি লেখাসংবলিত ফোল্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। ফোল্ডার ছাড়া শুধু খামসহ স্মারক নোটটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। ফোল্ডার, খামসহ স্মারক নোটটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।

নোটের সম্মুখভাগে বাঁ পাশে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি ও নিচে মেট্রোরেলের ছবি সংযোজন করা হয়েছে। নোটের শিরোনামে লেখা রয়েছে ‘বাঁচবে সময়, বাঁচবে পরিবেশ, যানজট কমাবে মেট্রোরেল’।

ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল আগামীকাল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।

পৌনে ১২ কিলোমিটার এই পথ পাড়ি দিতে মেট্রোরেলের সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড। শুরুতে মেট্রোরেল চলবে দিনে চার ঘণ্টা। সকাল ৮ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলার সময় ট্রেন মাঝপথে কোথাও থামবে না। শুরুতে উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশন থেকে টিকিট (কার্ড) কাটা যাবে। এই পথের ভাড়া ৬০ টাকা।

প্রথম দিকে স্টেশনে দুই ধরনের কার্ড পাওয়া যাবে। স্থায়ী ও এক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) কার্ড। শুরুতে মেট্রোরেল স্টেশন থেকেই এই কার্ড কিনতে হবে। পরে পর্যায়ক্রমে স্টেশনের বাইরে কার্ড বিক্রির জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ১০ বছর মেয়াদি স্থায়ী কার্ড কিনতে হবে ২০০ টাকা দিয়ে। এই কার্ড দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনমতো টাকা রিচার্জ করা যাবে।