হিমায়িত কাঁকড়া-কুঁচে রপ্তানিতে ভর্তুকি পেতে যা করতে হবে

হিমায়িত কাঁকড়া ও কুঁচে রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পেতে এখন থেকে নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে রপ্তানিকারকদের। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ–সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে।

নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, হিমায়িত কাঁকড়া ও কুঁচে এবং হিমায়িত সফট সেল বা নরম খোলসযুক্ত কাঁকড়া রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি পেতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিবর্তে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এত দিন বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যয়ন সনদ লাগত।

অন্যদিকে জীবন্ত কুঁচে ও কাঁকড়া রপ্তানির ক্ষেত্রে ভর্তুকির আবেদনপত্রের সঙ্গে বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যয়নপত্র দাখিলের শর্ত আগের মতো বহাল থাকবে।

পরিপত্র জারির দিন, অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল থেকে জাহাজীকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। একই সঙ্গে আলোচ্য খাতে নগদ সহায়তা প্রদানসংক্রান্ত সব নির্দেশনা যথারীতি অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৩ ধরনের পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেবে সরকার। এসব পণ্য রপ্তানিতে ১ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে কাঁকড়া ও কুঁচে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ১৯৭৭ সালে প্রথম দুই হাজার ডলারের কাঁকড়া রপ্তানি হয়। তার পর থেকে রপ্তানি বাড়ছে। যদিও রপ্তানি এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হয় না। বাংলাদেশ থেকে চীনে বেশি কাঁকড়া রপ্তানি হয়। এ ছাড়া মালয়েশিয়া, জাপান, হংকং, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুরের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও কাঁকড়া রপ্তানি হয়।

অন্যদিকে বাংলাদেশে উৎপাদিত কুঁচে যায় সাধারণত দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায়।