তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই ইসলামী ব্যাংকের এই জমি কেনা নিয়ে আলোচনা চলছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। জমি কেনা সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বর্ধিত ভবন নির্মাণ হবে এই স্থানে। পাশাপাশি সেনাকল্যাণ ভবন কেনার জন্যও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা ভবনটির দাম ৬০০ কোটি টাকা চাইছে।’

জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের জমিটি কিনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপরতা নতুন ছিল না। অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থাকাকালেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তখন এক রকম দরদামও ঠিক করা হয়েছিল। তবে ইসলামী ব্যাংক তখন জমিটি ছাড়তে রাজি ছিল না। এরপর নানা সময়ে আলোচনা হলেও সায় দেয়নি ব্যাংকটি।

সূত্রগুলো জানায়, আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নর পদে যোগ দেওয়ার পরই এ নিয়ে তৎপরতা বাড়ান। এ সময় ব্যাংকটিও নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে। ফলে ব্যাংকটির মালিকপক্ষ জমিটি ছেড়ে দিতে বলে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সম্প্রতি জমির দলিল সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে ব্যাংকটিকে জমির দাম পরিশোধ করে দিয়েছে।

জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধান কার্যালয়ের ভবন তৈরির জন্য আমরা জায়গাটি কিনেছিলাম। সেটা প্রায় ২০ বছর আগে। জায়গাটি বাংলাদেশ ব্যাংক-সংলগ্ন। বাংলাদেশ ব্যাংক তা কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।’

জমিটিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে আগের স্থাপনায় ইসলামী ব্যাংকের যেসব বিভাগ ছিল, সেগুলো ইতিমধ্যে সরে গেছে। সেখানে ইসলামী ব্যাংকের এটিএম ও টাকা জমা দেওয়ার একটি ক্যাশ রিসাইক্লিং যন্ত্রও (সিআরএম) ছিল, সেগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন ওই স্থাপনা ভাঙার কাজ চলছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ওই জমিতে দ্রুততম সময়ে সর্বাধুনিক সুবিধা ও নিরাপত্তাসংবলিত একটি ভবন তৈরির কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কারণ, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিনটি নিজস্ব ভবন থাকলেও তাতে জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। এ জন্য সেনাকল্যাণ ভবনের বেশির ভাগ তলা ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীর সংখ্যা এখন প্রায় ১০ হাজার।বিভাগ, প্রকল্প ও ইউনিট রয়েছে ৬৬টি।কয়েকটি বিভাগে বসার ব্যবস্থা বেশ গাদাগাদি।অনেক কর্মকর্তার বসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেই।