৯০ শতাংশ নারীকে ব্যাংকমুখী করা সম্ভব

রিফ্​ফাত আনজুম

করোনা-পরবর্তী সময় থেকে নারীদের মধ্যে স্বাবলম্বী হওয়ার বা আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা ঠিক তিন থেকে চার বছর আগেও সেভাবে দেখা যেত না। নারীরা এগিয়ে আসছেন নতুনধারার ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনা নিয়ে। এতে ব্যাংকের কাছে নারীদের ঋণ নিতে আসার হার আগের চেয়ে বেড়েছে।

সাধারণত নারীরা কাপড় ও ফ্যাশনসংক্রান্ত কাজের উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চান। এর বাইরে চামড়াশিল্প, প্লাস্টিক, চাষাবাদ ও গৃহস্থালিবিষয়ক বিভিন্ন ব্যবসায়িক ধারণা নিয়েও নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। তাঁদের সংখ্যা কম হলেও তা আশা জাগানিয়া। নারীরা স্বভাবগতভাবে সঞ্চয়ী। দুর্দিনের জন্য তারা এই সঞ্চয় করেন, যা ভবিষ্যতের জন্য কাজে আসে।

ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ব্যাংকিং সুবিধাকে একেবারে নারীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে, যা অনেকের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক প্রয়োজন পূরণ করতে সাহায্য করছে। আমাদের এজেন্ট ব্যাংকের ৬২ শতাংশই নারী গ্রাহক; যাঁরা মূলত ব্যক্তিগত হিসাব পরিচালনা করে থাকেন।

তবে এখানে থেমে গেলে চলবে না। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক হয়ে নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে হবে। নারীদের প্রতি যদি আরেকটু সহযোগী মনোভাব পোষণ করা যায় এবং নারীরা একটু সচেতন হন, তাহলে আমি মনে করি, ৯০ শতাংশ নারীকেই ব্যাংকমুখী করা সম্ভব। এতে ব্যক্তিগত সঞ্চয় ও ব্যবসায়িক উদ্যোগের সুফল পাবেন নারী তো পাবেই; সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারও উপকৃত হবে, যা আমাদের ক্রমবিকাশমান অর্থনীতিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।

নারী দিবসের চাওয়া, সর্বস্তরে নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সমতার সংস্কৃতি গড়ে উঠুক; তাহলে পুরুষের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাবেন নারীরা।