বাংলা কিউআর জনপ্রিয় করতে সিএসআরের টাকা খরচ করতে পারবে ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক ও মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফএস) বেশ আগে থেকেই নিজেদের কিউআর চ্যানেলের মাধ্যমে লেনদেন-সুবিধা চালু করেছে। এখন ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহিত করতে বাংলা কিউআর চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সব ব্যাংক ও এমএফএস-কে বাংলা কিউআর ব্যবহার করে লেনদেন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। 

এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আগামী দেড় বছর বাংলা কিউআরের মাধ্যমে লেনদেন, প্রচারণা ও প্রশিক্ষণে যেসব খরচ হবে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (সিএসআর) থেকে ব্যয় করা যাবে। ফলে ব্যাংকগুলো বাংলা কিউআরের মাধ্যমে লেনদেনে গ্রাহকদের আরও বেশি আগ্রহী করে তুলবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল লেনদেনের ইকোসিস্টেমে আনার জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সব লেনদেনের ৩০ শতাংশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগ লেনদেন নগদবিহীন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে বাংলা কিউআর চ্যানেলকে জনপ্রিয় করতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলা কিউআরের বিভিন্ন খরচ সিএসআর তহবিল থেকে করা যাবে। 

কোন কোন খরচ সিএসআর খাত থেকে করা যাবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত বিশেষ ক্যাম্পেইন চলাকালে মাইক্রো-মার্চেন্টদের জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন মাশুল সিএসআর খাত থেকে খরচ করা যাবে। এ ছাড়া ক্যাশলেস বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন-সংক্রান্ত যাবতীয় প্রচারণা, সচেতনতামূলক সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন, কোরবানির পশুর হাটে লেনদেনের খরচ ও এ-সংক্রান্ত যাবতীয় অবকাঠামো প্রস্তুত-সংক্রান্ত ব্যয়ও সিএসআর খাত থেকে করা যাবে। তবে ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগের আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যাতায়াত ভাতা, থাকা-খাওয়া, হোটেল বিল সিএসআর খাতে প্রদর্শন করা যাবে না। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডিজিটাল লেনদেন বেশি হলে অনিয়ম-দুর্নীতিও কমে আসবে। ব্যাংকগুলোর সিএসআরের টাকা নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যার যথাযথ ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন আছে। এ জন্য এই খাতে খরচ করতে বলা হয়েছে। 

তবে ব্যাংক ও এমএফএসের কর্মকর্তারা বলছেন, নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানগুলো যে কিউআর কোডের মাধ্যমে লেনদেন করছে, তা অব্যাহত রাখলেই ভালো হতো। এটাও ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমের অংশ। জোর করে বাংলা কিউআর চালু করতে গিয়ে পুরো প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।