ডিএমডি পদে পদোন্নতির সাক্ষাৎকার আগামী সপ্তাহে, কর্মকর্তাদের ক্ষোভ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতির জন্য প্যানেল চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। ১৭, ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর পদোন্নতির জন্য সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।

ডিএমডি পদে পদোন্নতির জন্য বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী, সদস্য হিসেবে আছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব। এবার ২০ থেকে ২২টি শূন্য পদের বিপরীতে ৩২ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। এ নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হিসেবে গত ৩০ জুন পর্যন্ত যাঁরা দুই বছর অতিক্রম করেছেন, শুধু তাঁরাই প্যানেলের মধ্যে এসেছেন। তবে ডিসেম্বর পর্যন্ত যতগুলো ডিএমডি পদ শূন্য হবে, তার বিপরীতে পদোন্নতি দেওয়া হবে। ফলে জুনের পরে যাঁরা পদোন্নতির যোগ্য হবেন, তাঁরা এতে স্থান পাচ্ছেন না। সে জন্য জুন পর্যন্ত যেসব পদ শূন্য হয়েছে, সেই পদগুলোর বিপরীতে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

জানা যায়, এবারের ডিএমডি পদে পদোন্নতির তালিকাটা দীর্ঘ হবে। এর আগে এতসংখ্যক ডিএমডি পদে পদোন্নতি হয়নি। ফলে সামনে পদ ফাঁকা হবে কমই। এ ছাড়া এবারের সাক্ষাৎকার গ্রহণও কয়েক দফা পিছিয়ে চলতি মাসে আনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে এভাবে পদোন্নতির আয়োজনকে অনেকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন না।

জিএম হিসেবে যাঁদের চাকরির বয়স ২ বছর ও ৯ম গ্রেডের পর চাকরির মেয়াদ ২০ বছর হয়েছে, তাঁরাই তালিকায় এসেছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তালিকা অনুযায়ী, পদোন্নতির জন্য ১৭ ডিসেম্বর যেসব জিএমের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে, তাঁদের মধ্যে আছেন—সোনালী ব্যাংকের আবু সাঈদ, জনতা ব্যাংকের নুরুল ইসলাম মজুমদার ও আবদুল ওয়াদুদ, অগ্রণী ব্যাংকের এনামুল মাওলা, এ কে এম শামীম রেজা, শামিম উদ্দিন আহমেদ, হোসাইন ঈমান আকন্দ, শামসুল আলম, বাহারে আলম, এ কে এম ফজলুল হক ও আমিনুল হক।

১৮ ডিসেম্বর যেসব জিএমের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে, তাঁদের মধ্যে আছেন—অগ্রণী ব্যাংকের আবুল বাশার, রূপালী ব্যাংকের হারুনুর রশীদ, ফয়েজ আলম ও ইকবাল হোসেন খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) পরিতোষ সরকার, বেসিক ব্যাংকের মো. ইছমাইল ও মমিনুল হক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের নাজমুল হোসেন, জামিল আহমেদ, শফিউল আজম ও জয়নাল আবেদীন।

১৮ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের আশরাফুজ্জামান খান ও মোহা. খালেদুজ্জামান, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের আতিকুল ইসলাম, বাবর আলী ও মাকসুদা নাসরিন, কর্মসংস্থান ব্যাংকের গৌতম সাহা ও মাহমুদা ইয়াসমিন, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের মো. আলাউদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের নূর আলম সরকার ও বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফিন্যান্স করপোরেশনের তোফায়েল আহমেদ।

ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা বলেছেন, এবার ২০ থেকে ২২টি পদের বিপরীতে ৩২ জনকে ডাকা হচ্ছে। অথচ ডিসেম্বর পর্যন্ত যোগ্যতা ধরা হলে ৪৫ থেকে ৫০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া যায়। আবার ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্য ধরে পদোন্নতি দিয়ে দেওয়া হলে ভবিষ্যতে এক পদের বিপরীতে পাঁচজনের বেশি প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সে জন্য সুষম ব্যবস্থা নিলে সবার জন্য ভালো হয়, তা না হলে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে জানতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহকে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।