ডিজিটাল লেনদেনে প্রণোদনা প্রয়োজন

এমরানুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ব্যাংক

গ্রাহকদের চাহিদা ও বর্তমান সময়কে মাথায় রেখে বিভিন্ন রকম ডিজিটাল সেবা বাজারে চালু আছে। প্রশ্ন হচ্ছে কী পরিমাণ জনগণ এই সেবাগুলোর আওতায় আছে? সে অর্থে দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠী এখনো পুরোপুরি ব্যাংকিং ও ডিজিটাল সেবার বাইরে আছে।

কার্ড থেকে অ্যাপ—ডিজিটাল সেবার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। অনেকগুলো ডিজিটাল মাধ্যম চালু হলেও অবকাঠামো, স্মার্টফোন ও মোবাইল ডেটার সহজলভ্যতা বিবেচনা করলে এখনো বিভিন্ন ধরনের কার্ডের জনপ্রিয়তা অব্যাহত আছে।

গ্রাহক যদি ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাংকে অনবোর্ডেড হন, তাহলে পরবর্তী সময়ে তাঁর ডিজিটাল জার্নি অনেক সহজ ও ফলপ্রসূ হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বেশির ভাগ অ্যাকাউন্ট ডিজিটালি হচ্ছে, যার বিপরীতে ডেবিট কার্ড ও মোবাইল অ্যাপ সহজে গ্রাহক ব্যবহার করতে পারছেন। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন রকম সুযোগ–সুবিধা থাকায় আমাদের গ্রাহকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।

আমরা রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গ্রাহকদের প্রয়োজন ও পছন্দের কেনাকাটা মাথায় রেখে বিভিন্ন রকম অফারের ব্যবস্থা করেছি। দেশের সেরা তারকা হোটেলসহ অন্যান্য স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টে ইফতার ও সাহ্​রিতে একটি কিনলে সর্বোচ্চ পাঁচটি পর্যন্ত বাফেট খাবার গ্রহণের ব্যবস্থা রেখেছি। 

ক্রেডিট কার্ড বর্তমানে কেবলই একটি লাইফস্টাইল পণ্য নয়, বরং তার চেয়ে বেশি কিছু। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা সুবিধাজনক ও নিরাপদ। সুষ্ঠুভাবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে একটি বাজেটের মধ্যে সঞ্চয়কে না ভেঙে সাশ্রয়ে দৈনন্দিন কেনাকাটাসহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটানো যায়।

আজকাল দেশে ও দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ড প্রায় সর্বত্র গৃহীত হয় এবং কিছু গ্রাহক কখনোই নগদ বহন করেন না। বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া আজকাল ভাবাই যায় না।

সরকার আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগ ক্যাশলেস লেনদেনের লক্ষ্যে কাজ করছে। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিত পথে তাদের ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আর্থিক সচেতনতা ও আর্থিক ভুক্তির ব্যাপারে দেশব্যাপী সরকার কার্যক্রম চালাতে পারে। স্কুল পর্যায় থেকে এ কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ক্যাশের পরিবর্তে ডিজিটাল লেনদেনে সরকারি প্রণোদনা চালু করা যেতে পারে।