পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাস্তবায়ন জুলাই-সেপ্টেম্বরে

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন পরিস্থিতি গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পর্যায়ে আছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের হিসাবে প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র পাওয়া গেছে। চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা।

সরকার যখন কৃচ্ছ্রসাধনের চেষ্টা করছে, তখন আগের বছরের প্রথম তিন মাসের চেয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এডিপির ১৯ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। আর ওই এডিপির ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর হিসাবে গত এক বছরের ব্যবধানে ২০ শতাংশের মতো বেশি খরচ হয়েছে।

আইএমইডি সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে। আগের চার বছর বাস্তবায়ন হার ৮ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রথম তিন মাসে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৩০১ কোটি টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৫ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।

আবার চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার নানা উদ্যোগ নেয় সরকার। উন্নয়ন প্রকল্পও বাদ যায়নি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন, জরুরি না হলে বিদেশ সফর ও গাড়ি কেনা বন্ধ, আসবাব কেনায় আরও সাশ্রয়ী হওয়াসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এডিপির টাকা খরচ যেন থেমে নেই।

এ বিষয়ে আইএমইডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রকল্পের টাকা খরচ হলে কর্মসংস্থান হয়। শ্রমিকশ্রেণির আয় বাড়ে। সে জন্য উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় এডিপির টাকা বেশি খরচ করা উচিত। তবে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে খরচ কমানো দরকার।

প্রকল্পগুলোকে এ, বি ও সি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এ শ্রেণির ৬৪৬টি প্রকল্পকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। অর্থাৎ চলতি এডিপিতে যা বরাদ্দ আছে, তার পুরোটাই খরচ করা হবে। বি শ্রেণিতে থাকা ৬৩৬টি প্রকল্পের বরাদ্দ (দেশজ উৎসের অর্থ) ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে আর ৮১টি সি শ্রেণির প্রকল্প নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হবে।