ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোনালী ব্যাংকের এজেন্টদের কর্মসূচি

ক্ষতিপূরণ চেয়ে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের এজেন্টরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তাঁদের দাবি, এজেন্ট হিসেবে সেবা চালুর দুই বছর পরও তাঁদের কমিশন সমন্বয় করা হয়নি। অধিকাংশ সময় সোনালী ব্যাংকের সার্ভারে জটিলতার কারণে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। এ জন্য তাঁদের বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে পড়ে।

গতকাল সোমবার সোনালী ব্যাংকের ঢাকা মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সোনালী এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশন (সাবা) এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সাবার সভাপতি যতীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহাবসহ ব্যাংকটির বিভিন্ন এলাকার এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগেও একই দাবিতে ব্যাংকটির এজেন্টরা কর্মসূচি পালন করেন।

এজেন্টরা জানান, সোনালী ব্যাংক শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রকার যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ২০০ এজেন্ট চূড়ান্ত করেছিল। এর মধ্য থেকে ৪৭৮ জন এজেন্টকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলেও ২২৭ জনের বেশি কেউ সেবাটি চালু করতে পারেননি। সোনালী ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাস থেকে ঘরভাড়া নিয়ে অন্দরসজ্জা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে প্রায় দুই বছর আগে থেকে এজেন্টদের এসব ব্যয় বহন করতে হচ্ছে।

সাবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে শুধু টাকা জমা, উত্তোলন ও ব্যক্তিক হিসাব খোলার মধ্য দিয়ে এই এজেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তী সময় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা পর্যায়ক্রমে সব সেবা দেওয়া হবে বলে জানায়। কিন্তু সেটা এখনো হয়নি। দীর্ঘদিন যাবত এজেন্টদের মাধ্যমে হিসাব খোলা বন্ধ রয়েছে। কখনোই একটা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্ভার সমস্যা এতটা স্থায়ী হতে পারে না। মনে হচ্ছে, তারা পরিকল্পিতভাবেই আমাদের তাড়ানোর পাঁয়তারা শুরু করেছে।

গতকালের অবস্থান কর্মসূচিতে এজেন্টরা জানান, ‘সমন্বয়হীনতাসহ সার্ভার জটিলতা ও সরঞ্জাম বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে প্রত্যেক এজেন্ট এরই মধ্যে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। দিন যত যাচ্ছে, ক্ষতির মাত্রাও বাড়ছে। সার্ভার সমস্যার কারণে আমরা সেবা দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি। এ পরিস্থিতিতে এসব সমস্যার সমাধান চাই। যদি সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে বাদ দেওয়া হোক। দুই বছরে আমাদের যেসব আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো ফেরত দিতে হবে।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম বলেন, এজেন্টরা বাড়তি সুবিধা চান।এ জন্য আন্দোলন করছেন।নিয়মের বাইরে বাড়তি কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না।