থার্মেক্স গ্রুপের ঋণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে
আলোচিত থার্মেক্স গ্রুপের সব ব্যাংকঋণের চিত্র খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য প্রতিটি ব্যাংক থেকে গ্রুপটির দায়দেনার তথ্য নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক ব্যাংক সেই তথ্য জমাও দিয়েছে। একাধিক ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত মঙ্গলবার সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) পাঠানো এক চিঠিতে থার্মেক্স গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর গত ৩০ নভেম্বর–ভিত্তিক সব দায়দেনার তথ্য দিতে বলেছে।
থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হলেন আবদুল কাদির মোল্লা। তিনি সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান। ব্যাংক খাতে আলোচিত গ্রাহকদের মধ্যে থার্মেক্স গ্রুপ একটি। এই গ্রুপের কারখানার বেশির ভাগই নরসিংদীতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি খাতের সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক থেকে থার্মেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর নেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কিছু ঋণ খেলাপি হলেও আদালতের আদেশে তা স্থগিতাদেশ রয়েছে। এ ছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি), ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও এনআরবিসিসহ অনেক ব্যাংকে গ্রুপটির ঋণ রয়েছে।
থার্মেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো থার্মেক্স ব্লেন্ডেড ইয়ার্ন লিমিটেড, আদুরী অ্যাপারেলস লিমিটেড, থার্মেক্স টেক্সটাইল, থার্মেক্স স্পিনিং, থার্মেক্স মিলেঞ্জ স্পিনিং, থার্মেক্স নিট ইয়ার্ন, থার্মেক্স ইয়ার্ন ডাইং, থার্মেক্স ইয়ার্ন ডাইড ফেব্রিকস, থার্মেক্স ওভেন ডাইং, থার্মেক্স চেক ফেব্রিকস, সিস্টার ডেনিম কম্পোজিট, ইন্ডিগো স্পিনিং লিমিটেড, আদুরি নিট কম্পোজিট লিমিটেড।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন ব্যাংকে থার্মেক্স গ্রুপের ঋণের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এসব ঋণ সেভাবে আদায় হচ্ছে না। একাধিক দফায় পুনঃ তফসিল করেও ঋণ নিয়মিত রাখতে পারেনি গ্রুপটি। এর পরও তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এতদিন সমর্থন পেয়ে আসছিল। এখন নতুন সরকার ও গভর্নর পদে পরিবর্তন আসায় গ্রুপটির ওপর তদারকি জোরদার করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় থার্মেক্স গ্রুপের সব ঋণের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সহায়ক হবে।