আরও ৯ ব্যাংকের জন্য ২,২৫৩ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড

বন্ড

সারের ভর্তুকির টাকা দিতে না পেরে পাওনাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বিশেষ বন্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই দফায় দুই সরকারি ও ৭ বেসরকারি ব্যাংককে বন্ড দেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকার। সচিবালয়ে গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, ব্যাংক ও পাওনাদার কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হয়। 

ভর্তুকির টাকা দিতে না পেরে গত বছরের শেষ দিকে শুধু সারের জন্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর মধ্যে গতকাল অগ্রণী ব্যাংককে ৪৪৭ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে ২৮২ কোটি, আল–আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংককে ৪৭৩ কোটি, সিটি ব্যাংককে ৩৯৭ কোটি, ঢাকা ব্যাংককে ৩৯২ কোটি, ইউসিবিএলকে ৯০ কোটি, এসআইবিএলকে ৬৯ কোটি, এনআরবিসিকে ৫৬ কোটি ও এক্সিম ব্যাংককে ৪৭ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড দেওয়ার এমওইউ হয়।

বিশেষ বন্ড দেওয়া শুরু হয় চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে। ওই দিন ৩ হাজার ১৬ কোটি, অর্থাৎ সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে ২ হাজার ৫৫৭ কোটি এবং আইএফআইসি ব্যাংকের অনুকূলে ৪৫৯ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড দেওয়া হয়। পরে ইসলামী ব্যাংককে দেওয়া হয় আরও ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং জনতা ব্যাংককে দেওয়া হয় ১ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বন্ড।

ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ঋণপত্র খুলে সার আমদানি করেছিল বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনসহ (বিএডিসি) আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সরকার ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারছিল না। ব্যাংকগুলোর দায় পরিশোধের জন্য এই বিশেষ বন্ড ছাড়ার পথে গেছে সরকার।

সারের ভর্তুকির পাওনা পরিশোধে ১ মাস ১০ দিনে ৯ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছেড়েছে সরকার। বন্ড পেয়েছে সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৩টি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংক এশিয়ার অনুকূলে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে এ দফায় সারের ভর্তুকি পরিশোধের কাজ শেষ হবে।

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) গত নভেম্বরের শেষ দিকে নিরবচ্ছিন্ন সার আমদানির ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের সহযোগিতা চায়। সোনালী ব্যাংককে বিসিআইসি জানায়, গত জুন পর্যন্ত শুধু ইউরিয়া সারের ভর্তুকি বাবদ সরকারের কাছে পাওনা ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। 

সার ও বিদ্যুতের ভর্তুকির দেনা শোধে ২৪ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত ছিল সরকারের। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ছাড়া হয়ে গেছে।