চূড়ান্ত অনুমোদনের আগেই নগদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য শর্ত শিথিল

চার মাস আগে ‘নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি’ নামে নতুন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগ দেওয়ার পর কোম্পানিটিকে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা আগ্রহপত্র দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে নগদ ফাইন্যান্স পিএলসিকে প্রাথমিক অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের আগেই নগদ ফাইন্যান্স পিএলসির জন্য শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।

এর ফলে নগদ ফাইন্যান্স পিএলসির অধীনে মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) কার্যক্রম চালাতে পারবে। যদিও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনে এর সুযোগ নেই। এ জন্য সরকারের অনুমতি নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল গভর্নরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, আইনে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অধীনে এমএফএস থাকার সুযোগ নেই। তবে নগদ ফাইন্যান্সের অধীনে এমএফএস থাকতে পারবে—পর্ষদের সভায় এমন সিদ্ধান্ত এসেছে।

এদিকে গতকালের পর্ষদ সভায় আলোচ্য সূচিতে ছিল, নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি কার্যক্রমে আসার শুরুতেই ইসলামি সেবা ও ক্রেডিট কার্ড সেবা চালু করতে চায়। তবে পর্ষদ এতে সম্মতি দেয়নি। চূড়ান্ত অনুমোদনের পর চালু হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

পর্ষদ সভার সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার ঋণের মেয়াদ আগামী মার্চ মাসে শেষ হচ্ছে। দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঋণের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দেয় পর্ষদ।
মুখপাত্র মেজবাউল হক এ নিয়ে বলেন, ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ ৩ হাজার ২৫২ কোটি ডলার। এক বছর আগে রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৪৯২ কোটি ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে রিজার্ভের ৮০০ কোটি ডলার ব্যবহারযোগ্য নয়। ফলে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ২ হাজার ৪৫২ কোটি ডলার।