আজ জরুরি পর্ষদ সভা ডেকেছে ন্যাশনাল ব্যাংক

আগামী বুধবারের মধ্যে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়ার জন্য ন্যাশনাল ব্যাংককে সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য আজ সোমবার বিকেলে জরুরি পরিচালনা পর্ষদের সভা ডেকেছে ব্যাংকটি। পরবর্তী এমডি কে হবেন, এ সভাতেই তা সিদ্ধান্ত হবে।

জানা গেছে, প্রায় তিন মাস ধরে এমডি ছাড়াই চলছে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক। সম্প্রতি অনুমোদন ছাড়া ঋণ বিতরণসহ নানা অনিয়মের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে ব্যাংকটি। এমন পরিস্থিতিতে বুধবারের মধ্যে একজন স্থায়ী এমডি নিয়োগ দেওয়ার জন্য ন্যাশনাল ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকটির এমডি হিসেবে চৌধুরী মোসতাক আহমেদের মেয়াদ গত ২৮ জানুয়ারি শেষ হয়। এরপর অতিরিক্ত এমডি এ এস এম বুলবুলকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁর সময়েই ব্যাংকটিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। আবার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের সব ধরনের নথিপত্রে তাঁর প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীকালে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে এ এস এম বুলবুলের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই নির্দেশের পর এ এস এম বুলবুলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আবদুল বারীকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেয় ব্যাংকটির পর্ষদ। এরপর থেকে এ এস এম বুলবুল আর ব্যাংকে আসছেন না। বুধবার ব্যাংকটির স্থায়ী এমডি পদ শূন্য থাকার তিন মাস পূর্ণ হবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির একটি পক্ষ চাইছে এ এস এম বুলবুলকে স্থায়ী এমডি হিসেবে নিয়োগ দিতে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঋণ অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় অন্য পক্ষ এতে রাজি হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে শাহ সৈয়দ আবদুল বারী বা বাইরে থেকে কাউকে এমডি নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকটি কাকে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেবে, তার ওপরই নির্ভর করবে ব্যাংকটির ভবিষ্যৎ। এ ছাড়া ব্যাংকটি কে পরিচালনা করবেন, তাঁর ওপর নির্ভর করবে ব্যাংকটিতে নতুন করে ঋণ বিতরণে অনিয়ম হবে কি না।

ন্যাশনাল ব্যাংকের দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার গত ১০ ফেব্রুয়ারি মারা যান। ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার। ২৬ ডিসেম্বরের পর কোনো পর্ষদ সভায় ঋণ অনুমোদন না হলেও বিতরণ ঠিকই অব্যাহত আছে। এ ছাড়া প্রায় এক বছর ধরে নির্বাহী কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর মূলত তাঁর ছেলেরা ব্যাংকটি পরিচালনা করছেন। বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন ব্যাংকটির কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাও।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন