আরও যত ফাঁসকাণ্ড

পানামা পেপারস
ছবি: সংগৃহীত

পানামা পেপারস

সাম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে আলোচিত ফাঁসকাণ্ডের একটি হচ্ছে পানামা পেপারস। ২০১৬ সালে ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৮৮টি অফশোর প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার নথি ফাঁস হওয়ার এ ঘটনাই পানামা পেপারস নামে পরিচিত। এসব নথিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনী ব্যক্তিদের কর ফাঁকির কাণ্ড উদ্‌ঘাটিত হয়। পানামার আইনি প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকা থেকে এসব তথ্য সংগৃহীত হয়েছিল। অফশোর ব্যবসা বৈধ হলেও সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে মোসাক ফনসেকা যেসব কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিয়েছে, সেগুলো মূলত কর ফাঁকি ও জালিয়াতির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। মূলত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এই ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জার্মান সাংবাদিক বাস্তিয়ান ওবেরমেয়ারের এসব নথি তুলে দেন। পরবর্তীকালে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) সব নথি ওয়েবসাইটে তুলে দেয়।

প্যারাডাইস পেপারস
ছবি: সংগৃহীত

প্যারাডাইস পেপারস

পানামা ফাঁসকাণ্ডের এক বছর পর ১ কোটি ৩৪ লাখ নথি ফাঁসের ঘটনা প্যারাডাইস পেপারস নামে পরিচিত। আইনি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলবাই, করপোরেট সেবাদাতা এস্তেরা ও এশিয়াসিটি ট্রাস্ট থেকে এসব নথি ফাঁস হয়। এতে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে। এদের মধ্যে আছে মহিরুহ করপোরেট প্রতিষ্ঠান এআইজি। ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন প্রিন্স চার্লস, রানি এলিজাবেথ; রাজনীতিকদের মধ্যে হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস ও সাবেক মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রসের নামও উঠে এসেছে। এই ফাঁসকাণ্ডের জেরে অনেকে কলঙ্কিত হন, অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। পানামা পেপারসের মতো এই ফাঁসকাণ্ডের সূত্রপাত করেন জার্মান সাংবাদিক বাস্তিয়ান ওবেরমেয়ার। তবে এবার তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফ্রেডরিখ ওবেরমেয়ার। এরপর প্রকাশ করে আইসিআইজে।

সুইস লিকস
ছবি: সংগৃহীত

সুইস লিকস

এটি ছিল সাংবাদিকদের অনুসন্ধানের বেরিয়ে আসা বড় ধরনের কর ফাঁকির ঘটনা। ব্রিটিশ বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসির জ্ঞাতসারে এ কাণ্ড ঘটে। তাদের সুইস সাবসিডিয়ারি এইচএসবিসি প্রাইভেট ব্যাংকের (সুসি) মাধ্যমে এটি বাস্তবায়িত হয়। সুইস ব্যাংকিং ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফাঁসকাণ্ড হিসেবে পরিচিত এ ঘটনা। ফরাসি কম্পিউটার বিশ্লেষক ও ব্যাংকটির সাবেক কর্মী হার্ভে ফ্যালসিয়ানি এইচএসবিসি ব্যাংকের ১ লাখ ব্যক্তি ও ২০ হাজার অফশোর কোম্পানির হিসাব অনুসন্ধান করে এই কর ফাঁকির ঘটনার হদিস পান। অভিযোগ, এইচএসবিসির জেনেভা শাখার মাধ্যমে ১৮০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো হাতবদল হয়েছে। ২০০৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই লেনদেন হয়েছে।