আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের সীমা বাড়ল

দেশের ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক কোম্পানিগুলো শেয়ারধারীদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দিতে পারবে। তবে এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ কোনোভাবেই ১৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য লভ্যাংশের এ সংশোধনী হার ঘোষণা করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ ১৫ শতাংশসহ মোট সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। এর আগে এক প্রজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নগদ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

এ ছাড়া যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান রাখতে ব্যর্থ হয়ে ঘাটতি সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাড়তি সময় নিয়েছে, তারা সম্পূর্ণ অর্থসংস্থানের আগে কোনো ধরনের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বোনাস বা স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

এ ছাড়া যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না। আবার যেসব প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততার হার ১০ শতাংশের কম ও খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠানও শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না।

নগদ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশ বেঁধে দেওয়ায় শেয়ারবাজার–সংশ্লিষ্টদের মধ্য প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ নিয়ে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তখনই সিদ্ধান্ত হয় নগদ ও বোনাস মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের।